৩০ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত বকেয়া পুরসভায় ভোট করতে হবে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল বা এজি। পুরভোট নিয়ে হাইকোর্টে বিজেপি যে মামলা করেছিল, এদিন সেই মামলার শুনানিতেই তথ্য পেশ করেন এজি। এজলাসে তিনি জানান, এ নিয়ে লিখিতভাবে তাঁর কাছে তথ্য এসেছে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে কলকাতা হাই কোর্টে পুরভোট নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলার বিষয় ছিল, কেন রাজ্যের সব ক’টি পুরসভায় বকেয়া ভোট এক সঙ্গে করানো হচ্ছে না? এই মামলার শুনানিতে গত মঙ্গলবার, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীকে প্রশ্ন করে, ‘কেন সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করানো হচ্ছে না?’ জবাবে কমিশনের আইনজীবী বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে হলফনামা জমা দেব।’
গত ১৬ নভেম্বর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত হাই কোর্টকে জানিয়েছিলেন, জনস্বার্থ মামলার শুনানি যত দিন চলবে, তত দিন পুরভোট সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে না। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে কলকাতার পুরভোট নিয়ে।
বেলা দেড়টা নাগাদ ফের বিজেপি আদালতে যায়। তাদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন হলফনামায় জানিয়েছে তারা এমন কিছু করবে না যাতে আদালতের অসম্মান হয়। অথচ মামলা চলছে, এর মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ফেলল। শুরুতেই বিজেপির আইনজীবী বলেন, কমিশনের আইনজীবী বলেছিলেন তারপরও বিজ্ঞপ্তি জারি। এটা ঠিক নয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিক আদালত।
এরই জবাবে এজি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি ১৯ ডিসেম্বর ভোট। আজ কবে, কী হবে সেই নির্ঘণ্ট জারি হয়েছে।’ বিজেপির আইনজীবী বলেন, ভোট নিয়ে তাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সব ভোট একসঙ্গে করানো হোক সেটাই দাবি করা হয়েছে।বিজেপির আইনজীবী পিনাকী আনন্দ বলেন, ‘২০২০ তে জানানো হয়েছিল কোভিডের জন্য ভোট করতে চাইছে না। এখন ত্রিপুরায় ভোট হচ্ছে। ভোটে আপত্তি নেই। কিন্তু বলার পরেও কেন ভোটের বিজ্ঞপ্তি কমিশন জারি করল সেটাই জানার।’
এরপরই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা সোমবার সব কাগজপত্র নিয়ে প্রপার অ্যাপ্লিকেশন করুন, দেখব।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, এর মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনও জানাক, তারা কেন বিজ্ঞপ্তি জারি করল।
এ নিয়েই এজি জানান, বকেয়া পুরভোট সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে লিখিত দেওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বকেয়া সমস্ত পুরভোট হবে। কলকাতা বাদ দিলে ১১১টি পুরভোট বাকি রয়েছে। সেগুলি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে হবে। তবে দফায় দফায় এই নির্বাচন করা হবে।