বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপ। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। সে ক্ষেত্রে তার নাম হবে ‘গুলাব’। পাকিস্তান এই নামকরণ করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এ রাজ্যেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ জলীয় বাষ্প সঞ্চয় করে শক্তি বাড়াচ্ছে। রবিবারই অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘গুলাব’। কলিঙ্গপত্তনমের কাছে ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা। আবহাওয়া দপ্তরের আশঙ্কা, জোড়া নিম্নচাপের পাশাপাশি গুলাবের প্রভাব কিছুটা হলেও পড়বে রাজ্যের উপর।
প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, জোড়া নিম্নচাপের প্রথম ধাক্কা রাজ্যের কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাবে। আপাতত এই সপ্তাহ শেষে শনি-রবি ছাড় মিললেও মঙ্গলবার থেকে ব্যাপক বৃষ্টি (Heavy Rain) হতে পারে। কিন্তু ‘গুলাব’ নামের ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি বাড়ার ফলে রবিবার থেকেই উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ব্যাপক বৃষ্টি হবে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে শক্তি বাড়িয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। প্রায় সমান্তরাল একটি ঘূর্ণাবর্ত রবিবার উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে যাবে। এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তর প্রভাবে রবিবার দুপুর থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হবে। শহর কলকাতাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
সোমবার দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। কলকাতায় বৃষ্টি বাড়বে মঙ্গলবার থেকে। সে দিন শহরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু কলকাতা নয়, মঙ্গলবার থেকে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হবে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।
ফের বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা শুনে প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করেছে লালবাজার। শনিবার রাত ১২টা থেকে শুরু হচ্ছে সর্বক্ষণের কন্ট্রোল রুম। রাজ্যজুড়ে ২২টি বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতি দলে থাকবেন তিনজন করে। পুলিসের পাশাপাশি থাকছে দমকল, কেএমসি, পিডব্লুডি। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে একজন যুগ্ম কমিশনার এবং একজন ডিসি। জমা জলে ইলেক্ট্রিক তার পড়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা এবং শহরতলিতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই সতর্ক CESC কর্তৃপক্ষ।