ফের দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থী গৌরব বিশ্বাসের পাশে থাকার বার্তা দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যুর পর তাঁর স্বামী গৌরব এই ওয়ার্ডে বিজেপি টিকিটের দাবিদার ছিলেন। দল টিকিট না দেওয়ায় এবার পুরভোটে এই ওয়ার্ডে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তা দাস বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাস টিকিট পাওয়ার প্রত্যাশা করলেও, তাঁকে বাদ দিয়ে রাজর্ষি লাহিড়ীকে প্রার্থী করা হয়। তিস্তা দাস বিশ্বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর পর স্বামী গৌরব বিশ্বাসই সেখানে বিজেপির নেতা কর্মীদের কাছের হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু গৌরব বিশ্বাসকে টিকিট না দেওয়ায়, দলের বিরুদ্ধে সরব হন রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
পূর্বেই একবার দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে এই বিষয়ে কথা প্রসঙ্গে গৌরব বিশ্বাসকে প্রার্থী না করার কারণে, বৈঠক মাঝপথে রেখেই উঠে পড়েন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সুকান্ত মজুমদার-দিলীপ ঘোষদের উপস্থিতিতেই দলের ভারচুয়াল বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মন্তব্য করেছিলেন, তাঁকে কেন এইসব ‘ভাটের’ বৈঠকে ডাকা হয়। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। রূপার এই প্রকাশ্যে বিদ্রোহকে ভাল চোখে নেয়নি রাজ্য নেতারা।
আরও পড়ুন: কর্মীদের কারণেই হারতে হয়েছে মমতাকে, নন্দীগ্রাম নিয়ে বেফাঁস সুব্রত বক্সি
কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipal Election 2021) বিজেপির তরফে তারকা প্রচারক হিসাবে যে ১৯ জন নেতা-নেত্রীর নামের তালিকা প্রকাশ হয়েছিল তাতে নেই রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তাহলে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে থাকার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করাতেই কি প্রচারকদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল রূপার নাম? শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই কি এমন সিদ্ধান্ত? দলের অন্দরে তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।
এই পরিস্থিতিতেই আরও একবার দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বুধবার গৌরবের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে চিঠি পাঠালেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি লেখেন,‘স্মৃতিপটে ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনের কথা স্মরণে আসছে। শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল। আমি রাজনীতির লোক নই, আর একথা আমি স্বীকারও করছি। আর সেই কারণে দল হয়ত আমাকে সাসপেন্ড করতে পারে, শো-কজ করতে পারে। তবে দল থেকে কিন্তু বেরিয়ে যেতে বাধ্য করতে পারে না। আমার তো আর হোর্ডিং লাগাবার মতো ক্ষমতা নেই – থাকলে তোদের দু-জনের ছবি টাঙিয়ে বলতাম- আমি তিস্তার সঙ্গে আছি, থাকব।’
আরও পড়ুন: বাংলার মুকুটে পালক! ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেল কলকাতার দুর্গাপুজো