Site icon The News Nest

Sayani Ghosh: ‘গোমূত্র দিয়ে গার্গল করে রায় দিতেন’, নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ সায়নীর

abhijit

বিচারপতির কালো কোট ছেড়ে তিনি এখন গেরুয়া শিবিরে। বৃহস্পতিবার বিজেপির দফতরে পদ্মের ঝান্ডা ধরেছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।আর এদিনই বাঁকুড়ার সভা থেকে নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ।

বাঁকুড়া হিন্দু হাই স্কুল মাঠে জেলা যুব তৃণমূলের রক্তদান শিবির ও দলের জন গর্জন সভার প্রস্তুতি মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেন। সরাসরি নাম না উল্লেখ করে তিনি এদিন বলেন, ‘যতগুলো রায় দিয়েছেন তার আগে গোমূত্র দিয়ে গার্গেল করে নিতেন। তারপর একটা একটা করে বাণী দিতেন। তার জন্যই আজ বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে। এতদিন আপনি মানুষের বিচার করতেন, এবার মানুষ আপনার বিচার করবে। ‘

প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সায়নী আরও বলেন, ‘‘আসুন, নামুন মাঠে, খেলুন। তৃণমূলের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, তৃণমূল ৩৬৫ দিন মাঠেই থাকে। এই মাঠেই খেলা হবে। কত ধানে কত চাল বোঝা যাবে। বাংলার মানুষ জামানত বাজেয়াপ্ত করে লোটাকম্বল-সহ বিদায় করে দেবে। তৃণমূল গ্যালারিতে বসে থাকবে আর বাংলার মানুষ খেলবে।’’  তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে সায়নী বলেন, “বিজেপিকে ভয় পাবেন না, ওদের ভয় দেখাবেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির হাজারো অভিযোগ তুললেও কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি।”

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে ফের তাঁর মুখে উঠে আসে প্রাক্তন বিচারপতির প্রসঙ্গে। প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সায়নী বলেন, “উনি বিচার ব্যবস্থার কলঙ্ক। বিচার ব্যবস্থার নাম করে আড়াল থেকে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার কাজ করেছেন। বিজেপিকে আকৃষ্ট করার জন্য উনি রায় দিচ্ছিলেন।”

ইতিমধ্যেই সায়নীর ‘কুলকুচি’ মন্তব্যের সমালোচনা করে সরব হয়েছে রাজ্যের পদ্মশিবির। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘সায়নী ঘোষের মুখে এই ধরনের নিম্নরুচির কথা নতুন নয়। এর আগেও তিনি নিজের বক্তব্যে নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন বিচারক ছিলেন, তখন তিনি যে রায়গুলি দিয়েছেন, তা নিয়ে এ ভাবে প্রশ্ন তোলা যায় না। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তিনি তখন রায় দিয়েছেন। এখন তিনি রাজনীতির ময়দানে এসেছেন। যে ভাবে তৃণমূলের সৌজন্যে বাংলার সর্বস্তরে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে এই বাংলার মানুষ কাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করবে, তা সময়ই বলবে।’’

Exit mobile version