গত জুন মাসে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। তার পর রাজ্য বিজেপি বলেছিল,দল সমর্থন করে না। শনিবার বার্লার পাশে রাখঢাক না করে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন,’জন বার্লা একজন জনপ্রতিনিধি। যাঁরা তাঁকে জিতিয়েছেন তাঁদের কথা শোনা এবং আওয়াজ তোলাটা তাঁর দায়িত্ব।’
দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) অভিযোগ, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নতি হয়নি। চিকিৎসা, শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্যের জন্য অন্যত্র যেতে হয় উত্তরবঙ্গবাসীকে। কেন হাসপাতাল, ভাল স্কুল নেই সেখানে? জঙ্গলমহলের অবস্থাও এক। শালপাতা, কেন্দুপাতা নিয়ে মা-বোনেরা সেখানে জীবিকা নির্বাহ করেন। কেন তাঁদের চাকরির জন্য রাঁচি, ওড়িশা, গুজরাটে যেতে হচ্ছে? দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়নের লাভ পাওয়ার অধিকার নেই তাঁদের?” উল্লেখ্য, এর আগে জন বার্লা যখন পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি জানিয়েছিলেন তখন দিলীপ ঘোষ চড়া গলায় যেমন তার বিরোধিতা করেননি, তেমনই আবার সমর্থনও করেননি এভাবে। স্বাভাবিকভাবে তাই তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা।
আরও পড়ুন: Covid ধাক্কা সামলে Darjeeling এ ফের ছুটল টয়ট্রেন, Queen Of Hills-এ শুরু জয়রাইড
জন বার্লার পাশে বসে দিলীপ বলেন,’জন বার্লা একজন জনপ্রতিনিধি। যাঁরা তাঁকে জিতিয়েছেন তাঁদের কথা শোনা তাঁর দায়িত্ব। আওয়াজ তোলাটা তাঁর দায়িত্ব।’ তবে কি বিজেপি নিজের অবস্থান বদল করে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করতে চলেছে? দিলীপ জানান,’পার্টির অবস্থান আছে। পার্টি ভেবে দেখবে।’
বিজেপির অবস্থান জেনেও খোদ রাজ্য সভাপতি ফের রাজ্যভাগের প্রসঙ্গ উসকে দিলেন কেন? এ নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়,’এটা সম্পূর্ণ কাপুরুষোচিত দ্বিচারিতা করে চলেছেন দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি। জন বার্লা মাঝে মধ্যে উত্তরবঙ্গের দাবি করছেন। রাজ্য সভাপতি ধুনো দিচ্ছেন। কদিন আগে নির্বাচন গেল। নির্বাচনী ইস্তাহার বের করেছিলেন। একবারও তো বললেন না তোমরা আমায় ভোট দাও, আমরা এসে বাংলা ভাগ করব। পরাজয় হজম করতে না পেরে বিভেদকামী, বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতি করছে।’
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে আর হকারি নয় ট্রেনে,হাওড়া ডিভিশনের নয়া এই নির্দেশিকায় মাথায় হাত পড়ল হকারদের