Site icon The News Nest

Shantiniketan: ৫২ ঘণ্টা পর শিশুর দেহ মিলল প্রতিবেশীর ছাদে, অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন

shantiniketan

রণক্ষেত্র শান্তিনিকেতন। তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে বস্তাবন্দি চার বছরের শিশুর দেহ উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙ্গা গ্রামে। স্থানীয়দের দাবি, রবিবার শিশুটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। মঙ্গলবার তার দেহ উদ্ধার হয় প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে। অভিযোগ, প্রতিবেশীই খুন করেছেন শিশুকে। তার পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্ভু ঠাকুর ও মমতা ঠাকুরের দুই ছেলের মধ্যে শুভম ছোট। শম্ভু পেশায় নাপিত। কর্মসূত্রে বেশির ভাগ সময়ই তিনি তাঁর সেলুনে থাকেন। মমতা বাড়ির কাজকর্ম সামলানোর সঙ্গেই ছেলেদের দেখাশোনা করতেন। রবিবার সকালে বাড়ির ঢিলছোড়া দূরত্বে বিস্কুট কিনতে বের হয় শুভম। বিস্কুট কিনে বাড়ি ফেরার পথেই সে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। তন্নতন্ন করে খুঁজেও তার খোঁজ মেলেনি। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বিশাল পুলিশবাহিনী এসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাগাতার তল্লাশি চালালেও খোঁজ মেলেনি শুভমের।

আরও পড়ুন: Nabanna Abhijan: BJP-র মারে হাত ভেঙেছে পুলিশ কর্তার, গ্রেফতার তিন

মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এর পরই অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যা ছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই কাণ্ডে পুলিশ প্রতিবেশী এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে।

শিশুটিকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ নিখোঁজ হওয়ার পরই পরিবারের তরফ থেকে বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছিল। তবুও ৫২ ঘণ্টা কেন সময় লাগল পুলিশের? পাশের বাড়িতেই যেখানে ছিল শিশুটির দেহ, তাহলে কেন কোনও ক্লু পেলেন না তদন্তকারীরা? তদন্তে কি কোনও গাফিলতি ছিল, সেই প্রশ্ন থাকছে। চার বছরের শিশুর মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। গোটা গ্রাম ফুঁসছে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: SFI-DYFI Rally: ‘ইনসাফ’-এর দাবিতে পথে বামেরা, ভিড়ের ঠেলায় স্তব্ধ ধর্মতলা মোড়

Exit mobile version