Shooter Kanika Layek’s dead body found in Bally

রাইফেল উপহার দিয়েছিলেন সোনু সুদ! বালিতে জাতীয় শ্যুটারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ঝাড়খণ্ডের প্রতিশ্রুতিমান শ্যুটার হিসেবে পরিচিতি তৈরি করেছিলেন৷ পাশে দাঁড়িয়ে রাইফেল উপহার দিয়েছিলেন অভিনেতা সোনু সুদ(Sonu Sood)৷ সেই রাইফেল শ্যুটার কণিকা লায়েকই (২৮) বুধবার সকালে হাওড়ার বালিতে আত্মঘাতী হলেন৷

মাস ছয়েক আগে বাংলার প্রখ্যাত শ্যুটার জয়দীপ কর্মকারের অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য আসেন কণিকা। ২৮ বয়সী শ্যুটার প্রশিক্ষণ করবেন বলে বালির এক গেস্ট হাউসে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন। তবে শ্যুটিংয়ে আশানুরূপ সাফল্য না পাওয়ার পরেই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন কণিকা। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে সেই কথাই লিখে গিয়েছেন কণিকা।

আদতে ধানবাদের বাসিন্দা কণিকা লায়েক। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলোর প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল তরুণীর। ২০২০ সালের জানুযায়ি মাসে ঝাড়খণ্ডে রাজ্যস্তরের শুটিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। জিতেছিলেন সোনা ও রূপার পদক।
এরপর ট্যুইটারে নিজের আর্থিক প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন তিনি৷ অভিযোগ করেন, ঝাড়খণ্ড সরকারের থেকে কোনও সাহায্যই পাননি৷ উন্নতির জন্য তাঁর একটি ভাল রাইফেলের প্রয়োজন বলেও জানান কণিকা৷ কণিকার এই ট্যুইট দেখে তাঁকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন অভিনেতা সোনু সুদ৷ অভিনেতা কণিকার উদ্দেশে লেখেন, ‘তুমি দেশের জন্য পদক জেতো৷ তোমার রাইফেল তোমার কাছে পৌঁছে যাবে৷’ প্রতিশ্রুতি মতো সোনু সুদের থেকে রাইফেলও উপহার পান কণিকা৷

আরও পড়ুন: Gangasagar: ই-রেজিস্ট্রেশন আবশ্যিক তীর্থযাত্রীদের, থাকছে অনলাইনে পুজো দেখার ব্যবস্থা

শ্যুটিংয়ে উন্নতির জন্য জয়দীপ কর্মকারের কাছে প্রশিক্ষণ নিতে চেয়েছিলেন কণিকা৷ জয়দীপ বাবুও কণিকার পাশে দাঁড়ান৷ এক আত্মীয়ের সূত্রে বালির ওই হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করেন কণিকা৷ এর পর কলকাতায় জয়দীপ কর্মকারের কাছেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন কণিকা৷ কিন্তু তাল কাটে কয়েক মাস আগে৷ সূত্রের খবর, আমেদাবাদের একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে বেনিয়মের অভিযোগে বহিষ্কৃত হন কণিকা৷ অভিযোগ, প্রতিযোগিতার মাঝেই টার্গেট পয়েন্টকে বিকৃত করেন কণিকা৷ সেই অভিযোগে মুচলেকা লিখিয়ে তাঁকে ওই প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করা হয়৷

যদিও কণিকা এই ঘটনা জয়দীপবাবুকে জানাননি বলেই অভিযোগ৷ পরে বিষয়টি জানতে পেরে কণিকাকে প্রশ্ন করেন জয়দীপবাবু৷ বিষয়টি নিয়ে জয়দীপবাবুর সঙ্গে কণিকার দূরত্বও তৈরি হয় বলে সূত্রের খবর৷ ঝাড়খণ্ড ছেড়ে বাংলায় চলে আসায় সেখানে ফেরাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল কণিকার পক্ষে৷ পুলিশের দাবি, খেলাধুলোয় আশানুরূপ ফল না পাওয়ার অবসাদ থেকেই এই চরম সিদ্ধান্ত বলেই সুইসাইড নোটে দাবি করেছেন কণিকা।

জানা গিয়েছে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কণিকার। এ বিষয়ে মৃতের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কণিকার পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, সিঙ্গল বেঞ্চে ধাক্কা বিজেপির; ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ভাবনা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest