উত্তরবঙ্গে বিজেপির বৈঠক। আর সেই বৈঠকেই গরহাজির দলের ৫ বিধায়ক। সেই তালিকায় রয়েছেন অশোক লাহিড়ীও। যাঁকে পিএসটি চেয়ারম্যান পদে ভেবেছিল বিজেপি। পাশাপাশি তালিকায় রয়েছেন বিজেপির পুরনো বিধায়ক জুয়েল মুর্মু। যদি বিষয়টি গুরুত্ব দিতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। দলের সাংসদ রাজু বিস্ত জানান, ব্যক্তিগত কাজে এবং অসুস্থতাজনিত কারণে আসতে পারেননি ওই বিধায়করা।
গত কয়েক দিনের মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তাতে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা কমে এখন হয়েছে ৭৩। এই আবহে দলীয় বৈঠকে পাঁচ বিধায়কের গরহাজিরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও জুয়েল এবং গোপাল-সহ অন্যদের নিয়ে ‘অন্য ভাবনা’ মাথায় আসছে না মালদহের বিজেপি নেতাদের। তাঁদের মতে, ‘ওরা ভাল ছেলে।’
বুধবার দলের উত্তরবঙ্গ জোনের মোট ২৯ জন বিধায়ককে বৈঠকে ডেকেছিল বিজেপি। নেতৃত্বে থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। তবে শুভেন্দু অধিকারীর বদলে এদিনের বৈঠকে নেতৃত্ব দেন অমিতাভ চক্রবর্তী। জুয়েল এবং গোপাল ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন না কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওরাঁও, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী এবং গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। বৈঠকে অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে জুয়েল জানিয়েছেন, বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এই মুহূর্তে তিনি কলকাতায়। সত্যেন্দ্রনাথও জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ। একই কারণ দেখিয়েছেন মালদহের বিধায়ক।
বিজেপি সূত্রে খবর, বালুরঘাট আর গঙ্গারামপুর বিধায়ক আগেই জানিয়েছিলেন যে তাঁরা বৈঠকে যেতে পারবেন না। তবে বাকি ৩ জনের সম্পর্কে কোনও তথ্যই জানে না দল। এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি বাকি বিধায়কদের সঙ্গে। উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠক উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে ডাকা হলেও তালিকায় দক্ষিণবঙ্গের ২ জনের নাম ছিল। তবে তাঁরা যোগ দেননি বৈঠকে। একসঙ্গে একাধিক বিধায়কের অনুপস্থিতি বিজেপির দুশ্চিন্তা যে বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।