রাস্তার ধারে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন বছর পঞ্চান্নর এক মহিলা। প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন। রক্তাক্ত সারা শরীর। গলায়-পিঠে-পায়ে তাঁর মারাত্মক ক্ষত। রক্তে ভেসেছে রাস্তা। দ্রুত উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই প্রৌঢ়া জানালেন আসল ঘটনা। বিষয় সম্পত্তির জেরে তাঁর ছেলেই এ হাল করেছেন তাঁর। পারিবারিক বিবাদের জেরে মাকে রাস্তায় ফেলে কোপানোর অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুরে। আক্রান্ত মহিলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পুরসভার লেবুতলা এলাকার বাসিন্দা অন্নবালা হালদার (৫০)। তিনি লোকের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। বৃহস্পতিবার তিনি যখন কাজে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর ছেলে পিছন থেকে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় দত্তপাড়া এলাকায় পড়েছিলেন ওই মহিলা। পথচারিরা দেখতে পেয়ে অন্নবালাকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এই ঘটনার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছ়ড়িয়েছে ওই এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কিছুদিন ধরে বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে হালদার পরিবারে বিবাদ চলছিল। সেই কারণ ছেলে মায়ের উপর আক্রমণ বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। অন্নবালার ছেলে অভিযুক্ত জীবন হালদারকে গ্রেফতার করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
আক্রান্তের স্বামী কার্তিক হালদার বলেন, “আমি ঘুম থেকে ওঠার আগেই আমার স্ত্রী কাজে বেরিয়ে যান। এদিনও বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরে প্রতিবেশীদের মুখ থেকে শুনি আমার বড় ছেলে নাকি আমার বউকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দিয়েছে। রাস্তায় পড়ে রয়েছে। কথা শুনেই দৌড়ে যাই। কিন্তু ততক্ষণে এলাকার লোকই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। আমি চাই আমার বড় ছেলেটা জেলে থাকুক। ওখানেই খাক-ঘুমোক। বের হলে তো আবারও কারোর ওপর হামলা করতে পারে।”
চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, অন্নবালার ঘাড়ের কাছে গভীর ক্ষত রয়েছে। তাঁর চিকিত্সা চলছে। শরীর থেকে অনেকটাই রক্ত বের হয়েছে।