Site icon The News Nest

সরকারি নীতিকে বুড়ো আঙুল, এবার ৬ হাজার চিকিৎসকে বদলির সিদ্ধান্ত

Stethoscope social

স্রেফ প্রভাব খাটিয়ে একই হাসপাতালে ও স্বাস্থ্য দফতরের একই অফিসে বছরের পর বছর ধরে একই চিকিৎসক চাকরি করে যাচ্ছেন এমন ভুরি ভুরি নজির আছে। চিকিৎসকদের একাংশ যখন চরকির মতো বাংলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত বদলি হচ্ছেন তখন সেই বদলি নীতিকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন চিকিৎসকদের অপর অংশ।তাঁদের জন্য একেবারে অলিখিত নিয়ম। তবে এবার আর বোধহয় সেটা হওয়ার নয়। সূত্রের খবর, প্রায় ২০ শতাংশ চিকিৎসক, সংখ্যাটা প্রায় ১২০০জন গত ১২ বছর ধরে একই হাসপাতালে কাটিয়ে দিয়েছেন। বার বারই বদলির নির্দেশ এসেছে। কিন্তু সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালেই থেকে গিয়েছেন তাঁরা। তবে এবার রাজ্য়ের প্রায় ৬ হাজার চিকিৎসককে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল থেকে অন্যত্র বদলি করা হবে।

অনিয়মে দাঁড়ি টানতে এবার কোমর বেঁধেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। মেডিক্যাল কলেজ থেকে ব্লক হাসপাতাল, কোথায় কোন চিকিৎসক কত দিন একই পদে বছরের পর বছর কাজ করছেন, কতজন পদোন্নতি নিতে চাননি, এ সব তথ্য গত চার মাস ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও স্বাস্থ্যকর্তাদের একটি বিশেষ দল যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে চোখ বুলিয়ে মাথায় হাত স্বাস্থ্যভবনের। কী আছে তাতে?

রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এক যুগের উপর একই হাসপাতালে একই পদে বহাল তবিয়তে কাজ করছেন প্রায় তিনশো ডাক্তার। বারবার বদলির নির্দেশ এলেও ‘অজ্ঞাত কারণে’ সে নির্দেশ কার্যকর হয়নি। রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “চিকিৎসকদের স্বার্থরক্ষার প্রশ্নে রাজ্য সরকার অত্যন্ত সংবেদনশীল। কিন্তু তাঁদেরও সরকারি নিয়ম মানতে হবে।”

স্বাস্থ্যভবনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ১৪টি মেডিক্যাল কলেজে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও টেকনিশিয়ান মিলিয়ে প্রায় ছ’ হাজার পদ রয়েছে। কয়েকটি পদ ফাঁকা থাকলেও মেডিক্যাল পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে তেমন কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আবার আরএমও (রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার) থেকে সিনিয়র চিকিৎসক মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার চিকিৎসক কর্মরত। সব মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজারের বেশি চিকিৎসক স্বাস্থ্যদপ্তরে নিযুক্ত। কিন্তু ঘটনা হল, আর পাঁচজন সরকারি কর্মীর মতো তাঁরা কর্মিবর্গ প্রশাসন দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত নন।

Exit mobile version