কিছু কর্মীর অসহযোগীতার কারণেই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারতে হয়েছিল। সম্প্রতি একটি ভাইরাল অডিও ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ভাইরাল অডিওটি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সির। প্রশ্ন উঠছে কর্মীদের কারণেই হারতে হয়েছে মমতাকে কথাটির মাধ্যমে কাদের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি?
ওই অডিয়ো রেকর্ডিংয়ে একটি পুরুষ কণ্ঠকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘দলীয় কর্মীদের অসহযোগিতাতেই নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক হতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷’’ পরবর্তীতে দাবি করা হয়, ওই পুরুষ কণ্ঠটি নাকি আদতে সুব্রত বক্সির ৷ যদিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা The News Nest যাচাই করেনি ৷
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসন থেকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা ৷ তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ খুব সামান্য ব্যবধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে পরাজিত করেন তিনি ৷ ভোটের ফলপ্রকাশের পরই মমতা দাবি করেন, ষড়যন্ত্র করে তাঁকে নন্দীগ্রামে হারানো হয়েছে ৷ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও রুজু করা হয়েছে ৷ সেই মামলা এখনও অমীমাংসিত ৷
ইতিমধ্যে ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৷ রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন মমতা ৷ তবে এরপরও নন্দীগ্রামে তাঁর পরাজয় নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে সন্দেহ, দ্বিধা, দ্বন্দ্ব কাটেনি বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের ৷ ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপের কণ্ঠস্বর যদি সত্যিই সুব্রত বক্সির হয়, তাহলে এই তত্ত্বই আরও পোক্ত হবে ৷
কিন্তু মমতার বিরুদ্ধে ভুইফোঁড় হয়ে কাজ করলেন কারা? সেই বিষয়ে কেন তদন্ত করেনি তৃণমূল? তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি দল? প্রাক্তন হওয়ার সুবাদে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ পেয়েছেন শুভেন্দু? আপাতত এই সব প্রশ্নই মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের।