Suspected Monkey Pox patients will be taken to isolation in Kolkata's Beleghata ID Hospital

Monkey Pox: আতঙ্কের নাম মাঙ্কি পক্স, রাজ্যে ‘সন্দেহভাজন’ কেউ ঢুকলেই বেলেঘাটা আইডিতে নিভৃতবাস

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিদেশ হয়ে কলকাতায় (Kolkata) থাবা বসাতে পারে মাঙ্কি পক্স (Monkey Pox)। তাই মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কমূলক ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার। বিদেশ থেকে রাজ্যে আসা কোনও ব্যক্তির মধ্যে মাঙ্কি পক্সের উপসর্গ দেখা গেলে, তাঁকে নিভৃতবাসে রাখার ঠিকানা হল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। এ নিয়ে কেন্দ্রের যে সব নির্দেশিকা রয়েছে, সেগুলোও মেনে চলা হবে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২১ দিনের মধ্যে মাঙ্কি পক্স দেখা গিয়েছে, এমন দেশ থেকে যদি কোনও ব্যক্তি রাজ্যে প্রবেশ করেন, সে ক্ষেত্রে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেই ব্যক্তির মধ্যে মাঙ্কি পক্সের কোনও উপসর্গ থেকে থাকলে নিভৃতবাসে রেখে চিকিৎসা করা হবে। পাশাপাশি, যাত্রাপথে কার কার সংস্পর্শে এসেছেন, সেটাও দেখা হবে।

মাঙ্কি পক্স রুখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বেশ কিছু নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

১. মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত দেশগুলিতে গত ২১ দিনের মধ্যে যারা ঘুরে এসেছেন সেই সব নাগরিকদের মাঙ্কি পক্সের কোনও লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দিলে তাঁদের আইসোলেশনে রাখতে হবে।

২. ওই ব্যক্তি কতদিন আইসলেশনে থাকবেন সেটা তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি দেখে ঠিক করবেন মেডিকেল অফিসার।

৩. ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে ।

৪. উপসর্গ দেখা গিয়েছে এমন ব্যক্তিদের ডিস্ট্রিক্ট সার্ভাইলেন্স অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।

৫. কারও শরীরে উপসর্গ দেখা দিলে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠাতে হবে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে।

আরও পড়ুন: Weather Update: ৫০ কিমি বেগে বইবে হাওয়া, আগামী চার দিন দক্ষিণবঙ্গে প্রবল ঝড়- বৃষ্টির পূর্বাভাস

তবে এই রোগ কোভিড ১৯ (Covid 19)- এর মত ছোঁয়াচে নয়। জানা গিয়েছে, জল বসন্তের মতোই কিছুটা এই মাঙ্কি পক্স। তার প্রকোপে ফুলে যায় শরীরের লাসিকা গ্রন্থি। আর এই গ্রন্থিতেই থাকে আন্টিবডি, শ্বেত রক্তকণিকা। এই ভাইরাস দেহে প্রবেশ করলে তারা বাধা দেয়, ফলে স্ফীত হয় গ্রন্থি।

প্রাথমিক পর্যায় মাঙ্কি পক্সের উপসর্গ দেখে মনে হয় তা চিকেন পক্স বা হাম। তাই চিহ্ণিত করতে দেরি হয়ে যায়। উল্লেখ্য, এই ভাইরাসের বাহক কাঠবেড়ালি। অন্যান্য ভাইরাসের মতোই ভৌগলিক ক্ষেত্রে তার চরিত্র বদল হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালে বাঁদরদের মধ্যে প্রথম এই রোগ দেখা গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হচ্ছেন ইউরোপ এবং আমেরিকার বাসিন্দারা। এই অবস্থায় সমস্ত দেশকে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত মোট ১২টি দেশে ৮০ জন মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এতে মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: Arjun Singh: তৃণমূলে ফিরেই বিজেপিকে তোপ অর্জুনের, MP পদ ছাড়বেন কী?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest