Suvendu Adhikari: FIR Lodge against Suvendu Adhikari in Contai police Station

গুলিতে নিরাপত্তারক্ষীর রহস্যমৃত্যু, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের মৃতের স্ত্রীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সময়টা ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তারক্ষী থাকাকালীন গুলিবিদ্ধ হন শুভব্রত চক্রবর্তী নামে এক যুবক। ১৪ অক্টোবর কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয় শুভব্রতর। সেই ঘটনায় এবার নতুন করে FIR দায়ের করলেন শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। কাঁথি থানায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের করে মহিলা দাবি করেছেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার। তাঁর অভিযোগ, যে সময় শুভব্রত চক্রবর্তী গুলিবিদ্ধ হন, তখন প্রভাবশালী মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একজন মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী থাকাকালীন কীভাবে শুভব্রত গুলিবিদ্ধ হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রী। এমনকী হাসপাতালে নিয়ে যেতে কেন দেরি হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, নতুন এফআইআর-এ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ পত্রে নাম রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাখাল বেরার। কিন্তু এতদিন পর কেন এফআইআর? সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এতদিন আতঙ্কে মুখ বন্ধ করে ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি ন্যায়বিচার চাইছেন। তাঁর স্বামীর মৃত্যু রহস্যের সত্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তিনি। ছয়-সাত বছর এই দায়িত্বে থাকার পর কীভাবে আচমকা তিনি গুলিবিদ্ধ হলেন, প্রশ্ন তাঁর।

আরও পড়ুন: Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল অসম, সকাল সকাল কেঁপে উঠল কোচবিহার সহ একাধিক জেলা

অভিযোগ পত্রে তিনি লিখেছেন, ২০১৮ সালে ১৪ অক্টোবর ঘটনার সময় তিনি স্কুলে কর্মরত ছিলেন। একটি ফোনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পৌঁছন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। দ্রুত তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে হবে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শুভব্রতর। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর সন্দেহ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই কি অ্যাম্বুলেন্স সেদিন দেরিতে এসেছিল? এফআইআর-এর বয়ানে সেই প্রশ্ন তুলেছেন।

দন্তকারীরা বলছেন, এই ঘটনার কাটাছেঁড়া করতে গেলে বিরোধী দলনেতাকেও জেরার মুখে পড়তে হতে পারে। তদন্তের স্বার্থে তাঁকেও একাধিক প্রশ্ন করতে হবে। শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিয়ে এই তদন্ত নিরর্থক।

আরও পড়ুন: ‘পাগলামির একটা সীমা থাকে!’ জোকার, অর্বাচীন বলে সৌমিত্রকে আক্রমণ দিলীপের্

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest