Site icon The News Nest

Keshpur: মাস্টারমশাই বিয়ে করেছেন, স্কুলে খাওয়ানো হল মদ মাংস!

keshpur

শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্কুলের ভিতরে মদ – মাংস সহযোগে বনভোজন করার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের মইপুর এলাকা। অভিযুক্ত শিক্ষকদের সাসপেনশন দাবি করে এদিন স্কুলের মইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।

কেশপুর ২ নম্বর ব্লকের মইপুর গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত শনিবার স্কুলের ভিতরে মদ – মাংস সহযোগে বনভোজন করেছেন শিক্ষকরা। বনভোজন উপলক্ষে স্কুলের ভিতরে পাঁঠা জবাই করা হয়। স্কুলের চারজন শিক্ষকের পাশাপাশি সেখানে ছিলেন পরিচালন কমিটির কয়েকজন। সোমবার স্কুল খুলতেই দেখা যায় গ্রামের লোকজন ও অভিভাবকরা প্ল্যাকার্ড হাতে স্কুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এমনকী শিক্ষক, শিক্ষিকারা এলে তাঁদের ঘেরাও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আগামী বুধবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার কথা বলেন স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠকের পরই স্কুল খোলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, মাংস ভাত খাওয়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন স্কুলেরই এক শিক্ষক। কিন্তু এরপর সেখানে কী খাওয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন মিশ্র বলেন, “স্কুলে মাংস ভাতের আয়োজন হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলেছে। চারজন শিক্ষকের মধ্যে একজন নতুন বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর তিনি আমাকে বলেন স্কুল পরিচালন কমিটি ও আমাদের যে চারজন শিক্ষক আছেন তাঁদের খাওয়াতে চাই। বাচ্চাদেরও খাওয়াতে চান। এ নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যর সঙ্গে কথা হয়। এরপর তিনিই বলেন বুথ সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে। উনি রাজিও হন। আমি বলেছিলাম রবিবার করতে। ওনারা বললেন শনিবারই হবে। ঠিক হয় সোমবার বাচ্চাদের খাওয়ানো হবে। আমি শনিবার ক্লাস করানোর পর ছুটি হয়ে গেলে বাড়ি যাই। এরপর কী হয়েছে তা তো জানি না।”

গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটি পবিত্র জায়গা। সেখানে কী করে মদ – মাংস খেলেন শিক্ষকরাই। এসব থেকে কী শিখবে গ্রামের পড়ুয়ারা। কাণ্ডজ্ঞানহীন এই শিক্ষকদের অবিলম্বে বহিষ্কার দাবি করেছেন তাঁরা। অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিশুই বলেন, ‘‘মাইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটা গন্ডগোলের খবর পেয়েছি। খোঁজখবর নিচ্ছি। দোষী প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Exit mobile version