কালীপুজোর পরের দিনই ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) বর্ধমানে। মৃত্যু হল একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের। তাঁদের মধ্যে দুই শিশু ও দুই মহিলা রয়েছে। শুক্রবার সকালের দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি আরও ছ’জন। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, একই পরিবারের ১১ জন সদস্য একটি গাড়ি করে কলকাতা যাচ্ছিলেন। তাঁরা সকল মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এদিন সকালে বর্ধমান-কাটোয়া রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় কামনাড়া এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। সরাসরি একটি ডাম্পারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়। জখম হয়েছেন আরও ৬ জন। তাঁরা আহত অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে।
মৃতের এক আত্মীয় জানান, আমাদের ফোনে জানানো হয়। আমরা হাসপাতালে এসে দেখি অনেকেই মারা গিয়েছে। ওরা মুম্বইয়ের বাসিন্দা। দমদম বিমানবন্দর থেকে এদিন ফিরছিলেন সকলে। সেই সময়ে গ্রামের বাড়ি থেকে কয়েকজন তাদের আনতে গিয়েছিলেন। মোট ১১ জন গাড়িতে ছিলেন। সেই সময়ে একটি লরি এসে ধাক্কা মারে।
মৃতদের মধ্যে দু’জন শিশু। তাদের নাম সায়ন শেখ(৬) ও আরিয়ান শেখ(৩)। বাকিরা হলেন রাশেদ শেখ (৬০), সায়নুর খাতুন (১৭) এবং সোনালি খাতুন (১৯)। তাঁরা সকলেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার সোদপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তবে কীভাবে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা, গাড়ি চালানোর সময় চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তার জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি ডাম্পারে ধাক্কা মারে গাড়িটি।
এদিকে দুর্ঘটনার জেরে বর্ধমান-কাটোয়া রোডে প্রাথমিক যানজট শুরু হয়। যদিও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।