বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার হাওড়া, হুগলির একাধিক প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়েও বাংলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের সুর শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এবার তিনি দুর্যোগগ্রস্ত এলাকায় যাচ্ছেন। হেলিকপ্টারে যাওয়ার কথা তাঁর। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে।
সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও হাওড়া, হুগলি, ঘাটালের প্লাবন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। মন্ত্রীদের স্পষ্ট নির্দেশ দেন, নিজ নিজ এলাকায় মন্ত্রীরা যেন ঘুরে দেখেন। দিনরাত তাঁরা যেন পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন। একই সঙ্গে এই প্লাবনে বাড়ি ভেঙে, দেওয়াল ধসে কিংবা তড়িদাহত হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে সেই তালিকাও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৮ ইঞ্জিন
উল্লেখ্য, এখনও জলের তলায় ঘাটাল–চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়ক। অধিকাংশ জায়গায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখে গিয়েছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ঘাটালের নদীগুলির জলস্তর আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। সেখানে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে।
নাগাড়ে ভারী বর্ষণ ও ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন জল বাড়ছে ভাগীরথী নদীতে। বাড়ছে কালনার নদীর দুই পাড়ের ভাঙনও। যা নিয়ে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জালুইডাঙা এবং নদীর ওপারে মনমোহনপুর ও কিশোরীগঞ্জ এলাকার মানুষজন ভাগীরথীর ভাঙনে জর্জরিত। এই পরিস্থিতিতে এবার মানুষের পাশে দাঁড়াতে পরিদর্শনে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘চললাম, অলবিদা’ ফেসবুকে লিখে রাজনীতি ছাড়ার কথা বললেন Babul Supriyo