আগামী লোকসভা ভোটে নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরই বাঁচাতে পারবেন না বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী লোকসভা ভোটে ৫০ হাজার ভোটে হারবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া তিন সাংসদ ‘কোনও কাজের নয়’। দিলীপ ঘোষ ‘বড় বড় কথা বলছে, নিজের ওয়ার্ডে হেরে বসে আছে’। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের কণ্ঠে বিস্ফোরক এই অডিয়ো ক্লিপে চরম অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। খাতায় কলমে এখনও ‘স্বামী’ সৌমিত্রের সেই কথার রেশ ধরে এবার আরেক বিস্ফোরণ ঘটালেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল (Sujata Mondal)। তিনি দাবি করলেন, আগামী ছয় থেকে সাত মাস। তার মধ্যে বাংলার ১৮ সাংসদকেই দেখা যাবে তৃণমূলে!
বিজেপি ২০২৪ লোকসভা ভোটে তিনটি আসন পাবে বলে সৌমিত্রের কণ্ঠে যে অডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তা নিয়ে সুজাতার সংযুক্তি, “সবচেয়ে বড় কথা, তিনি তো অনেক বেশি বলেছেন। (বিজেপি) একটি আসনও পাবে তো ২০২৪ সালে। মানে, ২০২৪ লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে হোয়াইট ওয়াশ হয়ে যাবে না তো বিজেপি?” এখানে না থেমে সুজাতা আরও যোগ করেন, “এমএলএ (বিজেপি-র) রা তো অনেকেই চলে এসেছেন তৃণমূলে। অনেকে আসার জন্য লাফঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। শুধু কালীঘাটের তালা খোলার চাবিটা তাঁরা পাচ্ছেন না। আর এমপিদের অবস্থা? ৬ মাস অপেক্ষা করুন, একজন এমপি তো অলরেডি চলে এসেছেন (তৃণমূলে যোগ দেওয়ার অব্যবহিত পরে সাংসদ পদ ছেড়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়)। বাকি যে ১৭ জন সাংসদ (বিজেপির) লোকসভায় আছেন, তাঁরাও আসার জন্য পুরো হাপিত্যেশ করে বসে থাকবে আর ছয় থেকে সাত মাস পর।”
গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর এনে টিভি নাইন বাংলাকে সুজাতা বলেন, “আর মাত্র ৬ থেকে সাত মাস। আসলে এঁরা ২০২৪ সালের ভোটে হয় বিজেপি থেকে টিকিট পাবেন না, নাহলে জিতবেনই না। দ্বিতীয়টারই সম্ভাবনা যদিও বেশি। তাই ডুবে যাওয়া নৌকা বিজেপি ছেড়ে তাঁরা লাইফ জ্যাকেট নিয়ে সচল জাহাজ তৃণমূলে ঝাঁপ মারার জন্য কাকুতি-মিনতি শুরু করে দিয়েছেন।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, সুজাতা খাঁয়ের বক্তব্য সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই। গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে একের পর এক বিজেপি নেতা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে চলেছেন তাতে চাপ বেড়েছে বিজেপির অন্দরে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।