সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা রদবদলের সময়, তাপসকে মন্ত্রী করার জল্পনা চাউর হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী হতে পারেননি বরাহনগরের বর্ষীয়ান বিধায়ক তাপস রায়। তার পরেই তাঁর রাজনীতি ছাড়ার বিষয় নিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হল। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি যে তাঁরই, তা স্বীকার করেছেন তাপস। রবিবার এই ভিডিয়োয় প্রাক্তন মন্ত্রী তাপসকে একটি সভায় বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাকে ধরে রাখা খুব কঠিন। সময় এলেই দলকে জানিয়ে দেব যে, আর রাজনীতি করতে চাই না।’’ প্রসঙ্গত, ঘনিষ্ঠ বৃত্তে তাপস প্রায়শই রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা বলেন। তাঁর পুত্র বর্তমানে আমেরিকায় কর্মরত, মেয়েও কলকাতায় বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন।
নিজের মন্তব্য প্রসঙ্গে তাপস বলেছেন, ‘‘সব কাজেই তো অবসরের বয়স রয়েছে, রাজনীতিতে কেন থাকবে না? আমি মনে করি, রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট বয়স থাকা উচিত। যদি রাজনীতিই ছেড়ে দিই, তা হলে আর বিধায়ক পদ আঁকড়ে ধরে রাখব না।’’ কংগ্রেসী ঘরানার রাজনীতিতে সোমেন অনুগামী থেকে একসময় মমতা অনুগামী হয়ে গিয়েছিলেন তাপস। বরাহনগর থেকে তিনবারের বিধায়ক। বর্তমানে তাপস তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহসভাপতি হওয়ার পাশাপাশি দলের অন্যতম মুখপাত্র ও বিধানসভার উপমুখ্যসচেতক।
আরও পড়ুন: Sukanya Mondal: আবার কেষ্ট কন্যার জমিজমার হদিশ, কত সম্পত্তির মালিক সুকন্যা?
এনিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, তাপস রায় দলের সম্পদ। কোথাও তাঁর ক্ষোভ থাকতে পারে। তাঁকে দলের প্রয়োজন। কোথাও কোনও ক্ষোভ থাকলে তা মিটিয়ে নিতে হবে। বরানগরের একটি সভা থেকে তাপস রায় বলেন, “ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় একবার আমি ব্লেজার পরতে অস্বীকার করেছিলাম। সবার সামনে আমাকে চড় মেরেছিলেন অধ্যক্ষ। এখন কোনও অধ্যক্ষ কোনও ছাত্রনেতাকে চড় মারলে বাড়ি ফিরতে পারবেন?”
তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ এই বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক হলেও তাতে আমল দিতে নারাজ শাসকদল। সাংসদ শান্তনু সেন জানান, তাপস রায়ের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। যেভাবে বিশয়টা সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে, সেটা তৃণমূল বিধায়ক বলতে চাননি। এই সুযোগে তৃণমূলকে বিঁধতে প্রস্তুত বিরোধী শিবির। বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কারও সময়ে বোধদয় হয়। কারও বিলম্বিত। তাপসবাবু ঠিকই বলেছেন। এখনও ভাল ছাত্র এবং শিক্ষক রয়েছেন, তবে পরিবেশটা বিষিয়ে গিয়েছে। এখন গরুপাচারকারীরা তৃণমূলের ছাত্রনেতা।”
আরও পড়ুন: TET: নিয়োগ দুর্নীতির আবহেই পরবর্তী টেটের তোড়জোড় শুরু