ঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে তৃণমূলে ফিরলেন হাওড়ার ডোমজুড়ের ৩৫ জন বিজেপি কর্মী। ডোমজুড়ের সলপ মিশ্রপাড়ার বাসিন্দা ওই ৩৫ জন বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের উপস্থিতিতে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ঘরে ঢোকার আগে গঙ্গাজল ছিটিয়ে তাঁরা বাড়ি শুদ্ধ করে নিয়েছেন। সেইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকতে চান। ভুল বুঝে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এখন ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এসেছেন তৃণমূলে। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, স্থানীয় বিবাদে জড়িয়ে ওই ৩৫ জন ঘরছাড়া হয়েছিলেন। তৃণমূলই এখন তাঁদের ঘরে ফিরিয়েছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে এ সব করা হচ্ছে।
এর আগে বীরভূমেও দেখা গিয়েছিল এমনই চিত্র। দিন কয়েক আগে সাঁইথিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চেয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন প্রায় ৩০০ বিজেপি কর্মী। শেষপর্যন্ত তাদের তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। প্লাকার্ডে লেখা ছিল, আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করতে চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মসূচিতে সামিল হতে চাই। বহুক্ষণ পর বনগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তাদের হাতে ঘাসফুল পতাকা তুলে দেন। পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের উপরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দলে নেওয়া হয় ওইসব বিজেপি কর্মীদের।
আরও পড়ুন: Narada case: হলফনামা নেয়নি হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মমতা, মঙ্গলবার হবে শুনানি
অন্যদিকে, বিজেপি কর্মীদের ‘ভাইরাস মুক্ত’ করতে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে ‘শুদ্ধ’ করছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের ইলামবাজারে। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ এই ধারা অব্যাহত থাকলে বিজেপির সংগঠন তলানিতে গিয়ে পৌঁছবে। যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে গেরুয়া শিবিরের।
কয়েকদিন আগে এই জেলারই লাভপুরে বিজেপি কর্মীদের দেখা গিয়েছিল টোটো করে এলাকায় প্রচার করছেন— বিজেপি করে অন্যায় করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চান। তাঁদের ফেরানোও হয়েছিল। কোথাও আবার বিজেপি কর্মীকে মাথা মুড়িয়ে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করিয়ে দলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ব্যবহার হল স্যানিটাইজার।