রাত পোহালেই রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই ভোটকর্মীরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। এই চার বিধানসভা কেন্দ্রে সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানো নির্বাচন কমিশনের কাছে চ্যালেঞ্জ। দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা এবং খড়দহ কেন্দ্রে সকাল থেকে শুরু হয়ে যাবে উপনির্বাচন।
- শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্র—তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। বামফ্রন্ট প্রার্থী সৌমেন মাহাতো এবং কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল।
- দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্র— বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল, বামফ্রন্ট প্রার্থী আব্দুর রউফ এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহ৷
- খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্র—খড়দহ কেন্দ্রে একুশের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাজল সিনহা।
- গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্র— এখানে বিজেপি প্রার্থী পলাশ রাণা। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সুব্রত মণ্ডলকে। আর বামফ্রন্ট প্রার্থী করেছে অনিলচন্দ্র মণ্ডল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, দিনহাটা কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, খড়দহ কেন্দ্রে ২০ কোম্পানি, শান্তিপুর কেন্দ্রে ২২ কোম্পানি এবং গোসাবা কেন্দ্রে ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে ভয় পাওয়ার কোন দরকার নেই বলে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন পুলিশ–প্রশাসনের কর্তারা।
২ মে ফল ঘোষণার সময় দেখা গিয়েছিল, তৃণমূল পেয়েছে ২১৩টি আসন। বিজেপি জয় পেয়েছে ৭৭টিতে। তবে মোট আসন ছিল ২৯২। কারণ, তখন প্রার্থী মৃত্যুর কারণে ভোট হয়নি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জে। এক মাস আগে সেই দু’টি আসন তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে। অন্য দিকে, ভবানীপুর থেকে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় বিধায়ক হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, ফল ঘোষণার আগেই মৃত্যু হয় খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহের। ফল প্রকাশের পর দেখা যায় তিনি ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন। আবার ফলপ্রকাশের পর গোসাবার জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুতে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা কমে যায়। পাশাপাশি বিজেপি-র কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার যথাক্রমে দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। এর পরে বিজেপি-র আরও পাঁচ বিধায়ক দলত্যাগ করে তৃণমূলে গেলেও খাতায় কলমে বিধানসভায় এখন তৃণমূলের শক্তি ২১৩ এবং বিজেপি-র ৭৫।
সেই আবহে রাজ্যের চার আসনে উপনির্বাচন। তৃণমূলের কাছে রয়েছে মে মাসের ফলের থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। চারটি আসনেই জয় পেলে বিধানসভায় ২১৭ হবে ঘাসফুলের শক্তি। অন্য দিকে বিজেপি-র কাছে জেতা দিনহাটা ও শান্তিপুর ধরে রাখার লড়াই। সেটাও যে খুব সহজ নয়, সেটা জেনে বিজেপি শিবির চাইছে অন্ততপক্ষে শান্তিপুর আসনটাও যেন ধরে রাখা যায়।