বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬০১ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১কোটি ১৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ২৮০ জন। তবে ইতিমধ্যেই ৬৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৪৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন।করোনাভাইরাস সংক্রমণ মূলত বাতাসবাহিত। বিজ্ঞানীদের চাপের মুখে স্বীকার করতে বাধ্য হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
মঙ্গলবার জেনিভায় Covid-19 অতিমারী সংক্রান্ত WHO-এর বিভাগীয় প্রধান মারিয়া ফন কারখোভ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, Covid-19 সংক্রমণের অন্যতম প্রক্রিয়া যে বাতাসবাহিত, সেই সম্ভাবনা নিয়ে আমরা এর আগে আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন : বাড়ছে করোনা, রাজ্যে ফের কড়া লকডাউন, বন্ধ থাকবে প্রায় সব কন্টেইনমেন্ট জোন
সোমবার ৩২টি দেশের ২৩৯ জন গবেষক নিউ ইয়র্ক টাইমসে চিঠি দিয়ে দাবি করেছিলেন, বাতাসে অতি-ক্ষুদ্র কণার (এরোসল ড্রপলেট) মাধ্যমেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, যাকে বলে বায়ুবাহিত সংক্রমণ বা ‘এয়ারবোর্ন ট্রান্সমিশন’। এই যুক্তিতে ভর করে করোনা নিয়ে হু-এর নির্দেশিকা বদলেরও দাবি তুলেছিল বিজ্ঞানীদের দলটি।
কিন্তু হু করোনাকে বায়ুবাহিত রোগ বলতে রাজি হয়নি। হু-এর সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রযুক্তিগত প্রধান বেনেদেত্তা অ্যালেগ্রাঞ্জি বলেন, ‘গত দু’মাসে আমরা বেশ কয়েক বার বলেছি যে, আমরা মেনে নিচ্ছি বাতাসের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তার প্রমাণ এখনও ততটা জোরালো এবং স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে’।
বায়ুবাহিত ট্রান্সমিশন এবং এরোসল ট্রান্সমিশন যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে, সেই সম্ভাবনা নিয়ে আমরা ক্রমাগত কথা বলছি। আমরা মানছি যে এ ক্ষেত্রে নতুন তথ্যপ্রমাণ আসছে। সুতরাং, আমাদের মন খোলা রেখে ওই তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে তার প্রভাব খতিয়ে দেখতে হবে। সেইমতো সতর্কতা নিতে হবে। ঘটনা হল, করোনা যদি বায়ুবাহিতই হয়, তা হলে কিন্তু ‘সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং’ ব্যাপারটাই অর্থহীন হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন : করোনায় স্বামীর মৃত্যু, খবর পেয়েই দুই সন্তান সহ রেললাইনে ঝাঁপ দিলেন স্ত্রী