Site icon The News Nest

আরও অনেক দিন থাকবে করোনা, লকডাউন না তোলার সতর্কবার্তা WHO-র

who dunnit

Director-General of the WHO Tedros Adhanom Ghebreyesus, attends a news conference on the coronavirus (COVID-2019) in Geneva, Switzerland February 24, 2020. REUTERS/Denis Balibouse - RC237F9DRVD9

ওয়েব ডেস্ক: সহজে বিদায় নেওয়ার মতো ভাইরাস নয় COVID-19। দীর্ঘদিন এর বিরুদ্ধে লড়াই করেই বাঁচতে হবে। ফের আশঙ্কার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)।

WHO-এর মতে, বিশ্বব্যাপী লকডাউনের জেরে বহু দেশেই সংক্রমণের গতি কমানো গিয়েছে। তবে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। লকডাউন তুললে ফের বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে সংক্রমণের গতি। তাড়াহুড়ো করে লকডাউন তোলা নিয়ে করোনা আক্রান্ত দেশগুলিকে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার আরও বিপজ্জনক ইঙ্গিত দিলেন WHO প্রধান টেডরোজ আধানম গেবিয়াসেস (Tedros Adhanom Ghebreyesus )। তিনি বলছেন, “কোনও ভুল করবেন না। আমাদের এখনও অনেক লড়াই করতে হবে। এই ভাইরাস আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকবে।” গেবিয়াসেসের মতে, বেশ কিছু দেশ যে সামাজিক দুরত্বের বিধি তৈরি করেছে তা কাজে আসছে। অনেক দেশেই সংক্রমণের গতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু তা বলে সামাজিক দুরত্ব ভুলে গেলে চলবে না। তিনি বলেন, “সপ্তাহের পর সপ্তাহ বাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে। এতে অনেক মানুষ স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত। তাঁরা উপার্জনের জন্য বাড়ির বাইরে যেতে চাইছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে পৃথিবী আর আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে পারবে না। নতুন এই পরিস্থিতিকেই স্বাভাবিক ধরে নিয়ে এগোতে হবে।”

আরও পড়ুন: COVID-19 টেস্ট নেগেটিভ, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন পাক প্রধানমন্ত্রী

এখনও পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ২৫.৯ লক্ষ মানুষের শরীরে করোনার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মারা গিয়েছেন ১.৭ লক্ষ মানুষ। তবে কিছুটা হলেও করোনায় নয়া কেস বৃদ্ধির হার কমেছে ইউরোপ ও আমেরিকায়। তাই অনেক জায়গাতে বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গেই সতর্কতা জারি করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। 

যে দেশগুলিতে এখন লকডাউন চলছে, তাদের এই বন্দিদশা কাটানোর উপায়ও বাতলে দিয়ছে WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে লকডাউন তুলতে হলে অন্তত ৬টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আক্রান্ত দেশগুলিকে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো এমন জায়গায় পৌঁছে দিতে হবে, যাতে সংক্রমণ হলেও আক্রান্তদের সনাক্ত করে তাঁদের পরীক্ষা, আইসোলেশন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে।

আরও পড়ুন: করোনাত্রাস বাংলাদেশে! মৃত ১২০, ১৪ সদস্যের টিম পাঠাচ্ছে ইন্ডিয়ান আর্মি

Exit mobile version