আজ ইস্টার সানডে, এই উৎসবের গুরুত্ব কী? জানুন…

ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের বাইরে এইদিন যিশুর পুনঃজন্মের প্রতীক হিসাবে এদিন ‘ইস্টার এগ’ বিতরণ করা হয়।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ইস্টার সানডে বা পবিত্র রবিবার হল খ্রিস্টিয় ক্যালেন্ডারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। খ্রিস্টানরা আজকের এইদিনে মৃত্যুর বিরুদ্ধে যিশুখ্রিস্টের বিজয় উদযাপন করে। খ্রিস্টে বিশ্বাসীদের কাছে এটি পুরাতন জীবনের অবসানের পরে নতুন জীবনের শুরুর প্রতীক। ধর্মাবলম্বীদের মতে, ‘এ দিন খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান করেছিলেন। গুড ফ্রাইডে’তে বিপথগামী ইহুদীরা তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিল। মৃত্যুর তৃতীয় দিবস অর্থাৎ রবিবার দিন তিনি মৃত্যু থেকে জেগে উঠেছিলেন। মৃত্যুকে জয় করে যিশু আবারও মানুষের মাঝে ফিরে আসেন।’

পুনরুত্থানের এই সংবাদ খ্রিস্টবিশ্বাসীদের জন্য খুবই আনন্দের এবং খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। খ্রিস্টীয় ধর্মবিশ্বাসের মূল ভিত্তি হল, যিশুর ক্রুশে জীবনদান এবং গৌরবদীপ্ত পুনরুজ্জীবন। মানুষের সেবায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে সত্য ও সুন্দরের পথে এগিয়ে যাওয়াই ইস্টার সানডে বা যিশুর পুনরুত্থান দিবসের মূল বাণী।

ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টবিশ্বাসীরা বেশ কয়েকদিন ধরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান-সহ নানা কর্মসূচী পালন করে আসছেন। ইস্টারের দিনক্ষণ নিয়ে শুরুর দিকে নানা মত প্রচলিত ছিল। ‘স্প্রিং ইকুইনক্স’ বা মহাবিষুব-এর সময় এই উৎসব পালন করা হত। যিশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার বছর নিয়েও মতান্বর রয়েছে। দুটি মতবাদ অনুসারে ৩৩ খ্রিস্টাব্দে ক্রুশবিদ্ধ হন। তবে স্যার আইজাক নিউটন গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি মেপে সময়টাকে ৩৪ খ্রিস্টাব্দ বলে দাবি করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ক্রুশের উপরে যিশু খ্রিস্টের শেষ ৭টি বাণী, যা আপনাকে অভিভূত করবে

সারা বিশ্বেই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। বিশ্বের প্রতিটি গির্জাতে ইস্টার সানডে উপলক্ষে প্রার্থনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বড়দিনের মতো ইস্টার সানডে কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো তারিখে পালিত হয় না। বলা হয় , ২১ মার্চের পর যখন আকাশে প্রথম দেখা যায় পূর্ণ চাঁদ , তার পরের রবিবার পালন করা হয় ইস্টার। মূলত গ্রেগরিয়ান এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডার-সহ বেশ কয়েকটি দিনপঞ্জিকার হিসেব মিলিয়ে বের করা হয় ইস্টারের তারিখ , যা ৪ এপ্রিল থেকে ৮ মের মধ্যে যে কোনো সময় হতে পারে।

ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের বাইরে এইদিন যিশুর পুনঃজন্মের প্রতীক হিসাবে এদিন ‘ইস্টার এগ’ বিতরণ করা হয়। যেগুলোতে নানা রঙ দিয়ে কারুকার্য করা হয়। আজকাল চকোলেট দিয়েও তৈরি ডিম্বাকৃতির এই ‘ইস্টার এগ’ বিতরণ করা হয়ে থাকে। ছোটদের জন্য রবিবার রাস্তায় রাস্তায় ‘ইস্টার বানি’ সেজে ঘুরে বেড়ানোর প্রথা রয়েছে-তাঁরা ছোটদের চকোলেট এগ উপহার দেয়। এছাড়াও নানান জায়গায় ইস্টার এগ নিয়ে মজার খেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: আজ গুড ফ্রাইডে, এই দিনের নেপথ্যে কাহিনি জানতেন?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest