Site icon The News Nest

লাদাখে গিয়ে চিনের নাম করতে পারলেন না কেন ?মোদীকে খোঁচা চিদাম্বরমের

The News Nest: আচমকা লাদাখে সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেনার পাশে দাঁড়ালেও, কেন তিনি চিনের নাম নিলেন না, সেই নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিলেন চিদাম্বরম। তিনি বলেন যে কেন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সরাসরি চিনের নাম নিলেন না প্রধানমন্ত্রী। গালওয়ান উপত্যকায় ঠিক কি হয়েছিল ১৫ জুন, সেই কথাও জানতে চান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী এদিন নিমুতে সেনা ছাউনিতে গিয়ে নাম না করে তীব্র ভাষায় চিনকে আক্রমণ করেন। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের সময় যে ফুরিয়েছে সেই কথা বলে মোদী বলেন যে ভারতকে কেউ আক্রমণ করলে সেটা চুপ করে মেনে নেওয়া হবে না। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেস। 

আরও পড়ুন : সুন্দরী নয় তাই ধর্ষিত হওয়া সম্ভব নয়! বিচারপতির মন্তব্যে স্তম্ভিত নাগরিক সমাজ…

কেন তিনি চিনের নাম নিলেন না সেটি জিজ্ঞেস করেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। জাতির উদ্দেশে ভাষণ, মন কি বাত ও  তারপর নিমুতে বক্তব্য, তিনবারই সরাসরি চিনের নাম করেননি মোদী। 

সুরজেওয়ালার দাবি এক থেকে প্রমাণিত যে প্রধানমন্ত্রী দুর্বল। কেন মোদী চিনের নাম নিতে সংকোচ করছেন, কেন তিনি চোখে চোখ রেখে বেজিংয়ের সঙ্গে কথা বলছেন না, সেই প্রশ্ন করেন কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র। কংগ্রেস টুইটার হ্যান্ডেলও টিপ্পনী কাটে এই বিষয়। তাদের প্রশ্ন, দেশের প্রতি অনুগত না থেকে কেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর বন্ধু শি জিনপিংয়ের স্বার্থ রক্ষা করছেন চিনের নাম না নিয়ে। 

অনেকেই বলছেন এটা তো আর ছায়া যুদ্ধ ছিল না। চীনা সেনারা যে ভারতীয় জওয়ানদের হত্যা করেছে সেটা তো লুকনো নয়। তাহলে চীনের নাম নিতে অসুবিধা কোথায়? চীন শক্তিধর বলেই কি এমন টালবাহানা। সে কারণেই কী ভক্তরা চুপ করে রয়েছেন। গেরুয়ায় পার্টির কোনো নেতাই এই ইস্যুতে সেইভাবে মুখ খুলছেন না।

পাকিস্তান ইস্যু হলে গেরুয়ায় পার্টির পক্ষে খুব সুবিধা হয়। সেক্ষেত্রে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যায়। পাকিস্তানকে সামনে রেখে দেশের মুসলিমদের নিশানা করা সহজ হয়। হুঙ্কার দিয়ে গেরুয়া হিন্দুত্ব জাগিয়ে তোলা যায়। ‘হিন্দু খতরে স্লোগান দিয়ে’ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা যায়। চীনের বেলায় এর একটিও করা যায় না। তাতে চাপ তো হবেই।

আরও পড়ুন : ভর সন্ধ্যায় ফের ভূমিকম্প দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায়, আতঙ্কে রাস্তায় মানুষজন

 

Exit mobile version