Site icon The News Nest

আসছে ‘দেশি হোয়াটসঅ্যাপ,ফেসবুক’, মোদীর টুইটের পর জল্পনা দেশজুড়ে

pm modi leaves

ওয়েব ডেস্ক: বরাবরই সোশ্যাল মিডিয়ায় হিট তিনি। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রকে আক্রমণ শানাতেন। আবার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে সরকারের বিভিন্ন ‘সাফল্য’ তুলে ধরেছেন। দেশবাসীর উদ্দেশে দিয়েছেন নানা বার্তা। আর তিনিই কিনা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সন্ন্যাস নিতে চলেছেন? তা নিয়েই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।

আরও পড়ুন: সব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন মোদী! নিজেই ইঙ্গিত দিলেন টুইটারে

মোদীর সেই টুইটের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো কমেন্টের ছড়াছড়ি পড়ে যায়। কেউ বলেন, ‘(সোশ্যাল মিডিয়া) ছেড়ে যাবেন না।’ অনেকে মতে, ট্রোলের কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ত্যাগ করছেন মোদী। তাঁরা আবার পরামর্শও দেন। অনেকে তো জানিয়েই দেন, মোদী না থাকলে তাঁরাও সোশ্যাল মিডিয়া আর ব্যবহার করবেন না। তারই মধ্যে আবার ছড়িয়েছে, ‘দেশি হোয়াটসঅ্যাপ’ চালু হওয়ার খবর।

আরও পড়ুন:ঘৃণা ছাড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়া নয়- মোদীকে ‘পরামর্শ’ রাহুলের

‘দেশি হোয়াটসঅ্যাপ’ আসা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে লোকে মনে করছে। জল্পনা মার্কিন বহুজাতিককে হটিয়ে হয়তো ‘দেশি অবতার’ আনার কথা ঘোষণা করবেন মোদী। গ্রাহকদের যাবতীয় তথ্য বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার হাতে যাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন দড়ি টানাটানি চলছে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে।

সঙ্ঘ পরিবার স্বদেশি সোশ্যাল মিডিয়ার পক্ষপাতী। সোমবার স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের অশ্বিনী মহাজনের টুইট, ‘‘কখনও এ ভাবে ছেড়ে দেবেন না। বরং টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের দেশি সংস্করণ তৈরিতে সহায়তা করুন।’’ দ্বিতীয়ত, মন্ত্রী ও আমলাদের নিজেদের মধ্যে কথা বলার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের ধাঁচে মেসেজিং সার্ভিস তৈরি করছে ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টার। বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট তৈরির দায়িত্বে থাকা ওই সংস্থার এই পাইলট প্রকল্পের নাম জিআইএমএস। অনেকের প্রশ্ন, এবার কি তাহলে মোদীর হাত ধরে ‘শুদ্ধ দেশি হোয়াটসঅ্যাপ’ আসতে চলেছে?

আরও পড়ুন: ‘পারবেন না’, মোদীর টুইটের পর নেট দুনিয়ায় ছড়াছড়ি মিমের

একটি অংশের দাবি, মোদী যখন সিদ্ধান্ত তখন অনেক ভেবেচিন্তেই নিয়েছেন। টুইটার, ফেসবুকের মতো বিদেশি সংস্থার পরিবর্তে দেশীয় সোশ্যাল মিডিয়া চালুর প্রথম ধাপ এটি। কয়েকজন বিজেপি নেতারও কথায় সেই আভাসও মিলেছে।

Exit mobile version