women’s day 2020: প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করলেন যে মহিলারা…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: আগেই জানিয়েছিলেন। সেই মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সকালে সাত নারীর হাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।গত সপ্তাহে একটি টুইটবার্তায় মোদী বলেন, ‘আগামী রবিবার থেকে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেব ভাবছি। আপনাদের সবাইকে (এই বিষয়ে) জানাব।’ তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে যায়। মোদী কেন টুইটার থেকে ‘সন্ন্যাস’ নেবেন তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। উঠে আসে বিভিন্ন তত্ত্ব।পরে অবশ্য মোদী নিজেই সেই রহস্য ফাঁস করেন। জানান, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি সামলাবেন না।

আরও পড়ুন: নারী দিবসের শ্রদ্ধার্ঘ্য: যেসব বাংলা সিনেমায় নারীই মূল চরিত্র

এরপর এদিন সকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর পর সাত নারীর হাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ছেড়ে দেন মোদী। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শুভেচ্ছা। আমাদের নারী শক্তির স্পিরিট এবং সাফল্যকে স্যালুট জানাই। যেমন কয়েকদিন আগে বলেছিলাম, আমি চলে যাচ্ছি (সাইন অফ করছি)। সারাদিন সাত মহিলা নিজেদের জীবন তুলে ধরবেন। আমার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে আপনাদের সঙ্গে সম্ভবত কথা বলবেন।’

‘ফুডব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া’-র প্রতিষ্ঠাতা চেন্নাইয়ের স্নেহা মোহান্দোস প্রথম মহিলা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। তিনি লেখেন, ‘‘আপনারা চিন্তার জন্য খাদ্যের কথা শুনেছেন। এবার সময় এসেছে আমাদের দরিদ্রদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য। হ্যালো আমি স্নেহা মোহান্ডোস। আমার মায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত। যিনি ঘরছাড়াদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। আমি শুরু করেছি ফুড ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া।”

এরপর জানা যায় শ্রীনগরের এক মহিলা উদ্যোগপতির জীবনকাহিনি। কাশ্মীরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চান আরিফা। টুইট করে তিনি জানান, ‘‘আমি সব সময়ই স্বপ্ন দেখি কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী কারুকার্যকে পুনরুদ্ধার করতে। কেননা এর ফলে স্থানীয় মহিলারা ক্ষমতা পাবেন। মহিলা কারিগরদের অভস্থা দেখার আমি নমদা শিল্পকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হই।”

হায়দরাবাদের কল্পনা রমেশ একজন পেশাদার অন্দরসজ্জা স্থপতি। তিনি আগামী প্রজন্মের জলের নিরাপত্তা সৃষ্টি করতে লড়াই করছেন। জানাচ্ছেন, ‘‘ছোট প্রচেষ্টা থেকে বড় প্রভাব তৈরি হতে পারে। জল এক মূল্যবান উত্তরাধিকার যা আমরা পেয়েছি। পরবর্তী প্রজন্মকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।”

আরও পড়ুন: Womens Day 2020: ছবিতে জয়গান নারীত্বের, শুভেচ্ছা পাঠান আপনার প্রিয়জনদের

প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে আরও তিনজন মহিলা নিজেদের লড়াইয়ের কথা জানাবেন।সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদির জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। বর্তমানে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা ৫৩.৩ মিলিয়ন। ফেসবুকে ৪৪ মিলিয়ন। ইনস্টাগ্রামে ৩৫.২ মিলিয়ন এবং ইউটিউবে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ৪.৫ মিলিয়ন।

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest