বাংলাদেশে ফলের রস তৈরির কারখানায় আগুন লেগে কমপক্ষে ৫২ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার এক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সাজেন ফ্রুট জুস তৈরির এই কারখানাটি হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ওই কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ আগুন লাগে। এখনও কারখানার বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলছে বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। এই কারখানায় মূলত জুস ও সফট ড্রিংক তৈরি হত বলে জানা গিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের ওই কারখানায় আগুন লাগে গতকাল, বৃহস্পতিবার সন্ধেয়। প্রাথমিকভাবে তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। রাতভর চলে উদ্ধারকাজ। আজ, দুপুরে বাংলাদেশের দমকলবাহিনীর তরফ থেকে উপ পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন জানান, এখনও পর্যন্ত ৫২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। দেবাশিষ বর্ধন আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫
A massive blaze in a Bangladesh factory has killed 40 people and injured at least 30 with some people jumping from the upper floors to escape the fire. Dozens still missing: AFP pic.twitter.com/EQvwYDxLld
— ANI (@ANI) July 9, 2021
৬ তলা কারখানায় প্রথমে গ্রাউন্ড ফ্লোরেই আগুন লেগেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারখানার অন্যান্য তলেও।বৃহস্পতিবার আগুন লাগার পর ১৮টি দমকল ইঞ্জিন পৌঁছেছিল ঘটনাস্থলে। দমকলবাহিনীর তরফেই জানানো হয়েছে, কারখানাটির ভিতরে প্রচুর প্লাস্টিকের বোতল, রাসায়নিক পদার্থ এবং অন্যান্য দাহ্য বস্তু মজুত করা ছিল। তাতেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোথা থেকে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়।
আজ দুপুর পর্যন্তও কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি, ফলে পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধারকাজও চালানো যায়নি। তিনি আরও জানান কারখানার চারতলার দরজা বন্ধ থাকায় অনেকেই বেরতে পারেননি। কারখানা থেকে অনেককে ঝাঁপ দিতেও দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কারখানার ছাদ থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহগুলি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, অনেক দেহ শণাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই। সেগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন: স্ট্রং পুরুষাঙ্গ পেতে হলে করণীয় কী কী (18 +)