মসজিদে তখন নামাজ পড়ছিলেন শতাধিক মানুষ। তখনই আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হলেন অন্তত ৫৬ জন। আহত ৬৫ – এর বেশি। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পেশোয়ারের কিস্সা খাওয়ানি বাজারের একটি মসজিদে।
Atleast 30 people killed and more than 50 injured in a bomb explosion during Friday prayers at a mosque in Peshawar, Pakistan: Geo News pic.twitter.com/ZMaIZ7UVOg
— ANI (@ANI) March 4, 2022
পেশোয়ারের কিসা খোয়ানি বাজার এলাকার জামিয়া মসজিদটিতে (Jamia Mosque) প্রতি শুক্রবারের মত এদিনও নমাজ পড়ার জন্য জমায়েত হন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষজন। কিন্তু প্রার্থনা করতে গিয়ে যে এমন প্রাণঘাতী হামলার মুখে পড়তে হবে, তা কেউই ভাবেননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রার্থনা চলাকালীন প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণের(Blast) শব্দ পান সবাই। কেটে যায় প্রার্থনার রেশ। গোটা মসজিদে তখন শুধু তীব্র ধোঁয়া আর রক্ত। ধ্বংসস্তূপেই পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। কাউকে কাউকে চেনাও যাচ্ছে না। মসজিদ থেকে বেরনোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আতঙ্কিত মানুষজনের মধ্যে।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় লেডি রিডিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও। কী ভাবে এই বিস্ফোরণ হল, বিস্ফোরণের পিছনে কারা রয়েছে, এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, লেডি রিডিং হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের সূত্র উদ্ধৃত করে পাক সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা অতি সঙ্কটজনক।
বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ঘটনার প্রবল নিন্দা করে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে নিয়ে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
পেশোয়ারের মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি পেশোয়ার পুলিশের কাছে দ্রুত এর রিপোর্ট তলব করেছেন। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে নিশ্চিত করা হয় যে, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা। জানানো হয়, হামলাকারীরা মসজিদে ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের পিছু নেয় পুলিশ। দুই পক্ষের গুলি বিনিময় শুরু হয়। তার মধ্যেই এক আততায়ী মসজিদে ঢুকে পড়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৩০ জন। আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছে প্রশাসন।