মঙ্গলবার সকালে বড়সড় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার মাটি। জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতাও। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা রেকর্ড হয়েছে ৭.৩। ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস আইল্যান্ডে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল বা Epicenter ছিল সমুদ্র গর্ভে।
জানা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় ১০টা ২০ মিনিটে আচমকাই কেঁপে ওঠে মাটি। ভূমিকম্পের প্রাবল্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মওমেরে শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে মাটির ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে। এই পরিস্থিতিতে প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, ওই উৎসস্থলের ১ হাজার কিলোমিটার উপকূল জুড়ে সুনামির বিপজ্জনক ঢেউয়ের দেখা মিলতে পারে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের ধাক্কায় বাংলাদেশে ফের বন্ধ হতে পারে স্কুল-কলেজ? স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী
তবে এদিনের ভূমিকম্পের মাত্রা বেশি হলেও, তার ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সামান্যই। কেননা তা হয়েছে সমুদ্রতলে। আমেরিকার ভূমিকম্প সতর্কতা কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে যেসব ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গৌণ। কেননা ভূমিকম্পের জেরে সুনামি কিংবা ভূমিধসের কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
আসলে ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা অঞ্চলে, যেখানে এমনিতেই জিওটেকটনিক শক্তির প্রাবল্য রয়েছে। শুধু তাই নয়। ইন্দোনেশিয়ার বিস্তার দুটি মহাদেশীয় পাত (ইউরেশিয়ান এবং অস্ট্রেলিয়ান প্লেট) এবং দুটি মহাসাগরীয়(ফিলিপিন্স সি ও প্যাসিফিক প্লেট) এর মধ্যবর্তী অংশে। কিন্তু ইউরেশিয়ান পাতের নিচে ভারত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সরণ ও নিমজ্জিত হওয়ার ফলে বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় পরিণত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
আরও পড়ুন: Omicron: বিশ্বে প্রথম ‘ওমিক্রন’ আক্রান্তের মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক