হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য এবং হিংসা-হানাহানির ডাক দেওয়ার ঘটনায় এবার হস্তক্ষেপ করল পাকিস্তান। পাক বিদেশ মন্ত্রক সোমবার ভারতের শীর্ষ কূটনীতিবিদকে তলব করল। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসলামাবাদের হাই-কমিশনে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
জানা গিয়েছে, ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের শীর্ষ কূটনীতিক এম সুরেশ কুমারকে ডেকে পাঠিয়েছে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। গত কয়েক দিনে নানা বিদেশি সংবাদমাধ্যমে হরিদ্বারের ঘটনা তুলে ধরে সমালোচনা করা হয়েছে। কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, পাকিস্তানের পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক স্তরে মুখ পুড়ল ভারতের।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আগুন, ছাদে আশ্রয় নিয়েছে একশরও বেশি মানুষ
পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রকাশ্য সভায় যে ভাবে মুসলিমদের হত্যার ডাক দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পাকিস্তান। তাদের এই উদ্বেগ ভারত সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে হাই কমিশনের শীর্ষ কূটনীতিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পাক বিদেশ মন্ত্রক নিন্দা করে বলেছে, এখনও পর্যন্ত কেউ ক্ষমা চাননি। এমনকি ভারত সরকারও সে ভাবে পদক্ষেপ করেনি।
উল্লেখ্য, হরিদ্বারের অনুষ্ঠানে বিতর্কিত ইয়াতি নরসিংহনন্দ, দাসনা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেন এবং হিন্দুদের অস্ত্র তুলে নেওয়ার জন্য আহ্বান করেন। তাঁদের নির্দেশ দেন, যাতে ২০২৯ সালে কোনও মুসলিম যেন প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন। তাঁর বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশে একাধিক এফআইআর দায়ের রয়েছে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে।
সেদিনের অনুষ্ঠানে দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়ও ছিলেন। দেশজুড়ে সমালোচনার জেরে হিংসাত্মক মন্তব্যের অভিযোগে স্বামী ধরমদাস, সাধ্বী অন্নপূর্ণা এবং ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার এফআইআর দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: জালিয়ানওয়ালা বাগের প্রতিশোধ, রানি এলিজাবেথকে খুন করতে ক্যাসেলে ঢুকল আততায়ী