তালিবান ক্ষমতা দখলের পরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোথায় গিয়েছেন তিনি, সে বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। অবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তরফে জানানো হল, ‘মানবতার’ কারণে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি এবং তাঁর পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
গত রবিবার কাবুল দখল করে নেয় তালিবান। ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলোচনার মধ্যেই আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যান ঘানি। অবশেষে বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিদেশ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রক নিশ্চিত করছে যে মানবতার কারণে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি এবং তাঁর পরিবারকে স্বাগত জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যুর মামলায় শশী থারুরকে বেকসুর খালাসি দিল দিল্লির আদালত
প্রাথমিকভাবে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছিল, আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে তাজিকিস্তান বা উজবেকিস্তান বা ওমানে লুকিয়ে আছেন ঘানি। যিনি নিজের কয়েকজন অনুগতদের সঙ্গে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। নাম গোপন রাখার শর্তে দুই আফগান আধিকারিক জানিয়েছিলেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লা মোহিব এবং এক ঘনিষ্ঠ আছেন। তারইমধ্যে ফেসবুক পোস্টে নিজের দেশ ছাড়ার কারণের সাফাই দেন। দাবি করলেন, রক্তবন্যা এড়ানোর জন্য দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেইসঙ্গে তালিবানকে ‘জয়ী’ বলে ঘোষণা করে দেন। ‘তরোয়াল এবং বন্দুকের লড়াইয়ে জিতে গিয়েছে তালিবান।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘ওরা (তালিবান) এখন ঐতিহাসিক পরীক্ষার মুখে বসতে চলেছে। ওরা আফগানিস্তানের মান-সম্মান রক্ষা করবে বা অন্যান্য জায়গা বা নেটওয়ার্ককে গুরুত্ব দেবে।’
এমনিতেই দেশকে বিপদের মুখে রেখে পালিয়ে যাওয়ায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঘানি। আফগানিস্তানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মাদি। তিনি বলেন, ‘ওঁরা আমাদের হাত পিছন থেকে বেঁধে দিয়েছেন এবং দেশকে বেচে দিয়েছেন। ঘানি ও তাঁর গ্যাংকে অভিশাপ দিন।’
আরও পড়ুন: Aligarh: নামবদলের সেই চেনা ছক! আলিগড় বদলে হোক হরিগড়! ভোটের মুখে যোগী-গড়ে ফের প্রস্তাব