পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সন্ত্রাসবাদী হামলায় অন্তত ৩৭ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি সে দেশের তিল্লাবেরি প্রদেশে ঘটে এই ঘটনা। প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৩ টি শিশু, যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ র মধ্যে। কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে দায়ী তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে একদল অস্ত্রধারী হঠাতই তাদের উপর বেপরোয়া হামলা চালায়। নিহতদের মধ্যে অনেকেই মহিলা।
সরকারের দাবি, নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়ে ৫৮ জন সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করেছে. বাকিরা পালিয়ে গেছে। কনভয়ে করে তারা দেশের উত্তরের শহর আরবিন্দাতে যাচ্ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। সেনা প্রহরায় তারা যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: বোরখা বাধ্যতামূলক নয়, হিজাবেই চলবে, ঘোষণা করল তালিবান
ঘটনার পিছনে জেহাদিরা?
কোনো গোষ্ঠী এখনো পর্যন্ত এই আক্রমণের দায় নেয়নি। কিন্তু বুরকিনা ফাসো, নাইজার ও মালির সীমান্তে আইএস ও আল আয়দা খুবই সক্রিয়। সীমান্তের কাছের এলাকাতেই আক্রমণ হয়েছে। তাই সরকারের দাবি, এই হামলার পিছনে জেহাদিরাই আছে। গত কয়েক সপ্তাহে এখানে সন্ত্রাসবাদীরা একাধিক আক্রমণ চালিয়েছে। গত ৪ অগাস্ট তারা ১১ জন সাধারণ মানুষ সহ ৩০ জনকে হত্যা করেছে।
হিংসার ফলে ১৩ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছেন। আক্রমণের ঘটনা বাড়তে থাকায় স্থানীয় মানুষ উদ্বিগ্ন। স্থানীয় এক সাংবাদিক সংবাদসংস্থা এপি-কে বলেছেন, মানুষ খুবই ভয় পেয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: পালানো আফগান প্রেসিডেন্টকে ‘মানবতার’ কারণে আশ্রয় UAE-র