Site icon The News Nest

হিংসার ঘটনায় ৪০০০ জনের নামে তিনটি মামলা, ভারতকে সতর্ক করলেন শেখ হাসিনা

sheikh hasina

ঢাকায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ তিনটি থানায় পৃথক মামলায় ৪ হাজারেরও বেশি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করেছে করেছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর এবং বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনে। ঢাকার পল্টন, রমনা, চকবাজার থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর সময় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। এই আবহে মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন শরিফের অপমানের অভিযোগ এনে হামলা চালানো হয় দুর্গাপুজো মণ্ডপে। এরপর ঢাকাতেও বহু মানুষ ইসলাম ধর্মের অপমানের অভিযোগ এনে রাস্তায় নামে। এই আবহে ঢাকার কাকরাইল মোড়ে সংঘর্ষ বাধে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে।

এর আগে বুধবার কুমিল্লায় প্রথম হিংসার ঘটনা ছড়ায়। সেখানে বেশ কিছু পুজো মণ্ডপ ভেঙে দেওয়া হয়। এছাড়াও হাজিগঞ্জের চাঁদপুর, চট্টোগ্রামের বাঁশখালি ও কক্সবাজারের পেকুয়াতেও বেশকিছু মন্দিরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকেও হামলার মুখে পড়তে হয় বলে জানা গিয়েছে। তারপর ক্রমশ তা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অনেকে। জখমের মধ্যে সাংবাদিক, পুলিশ কর্মী ও সাধারণ মানুষও রয়েছেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের বিজিবি বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে ২২ জেলায়।পাশাপাশি দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যারা এই হামলায় যুক্ত তাদের রেয়াত করা হবে না। যেকোনও ধর্মেরই লোক হোক না কেন, শাস্তি তাদের পেতেই হবে। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক এমন অসহিষ্ণুতার জন্য শেখ হাসিনা ভারতকেও সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন। বিবিসি বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতে যেন এমন কিছু না হয়, যার প্রভাব বাংলাদেশে পড়ে আর এখানে থাকা হিন্দু সম্প্রদায়কে তা ভুগতে হয়।

রাজনৈতিক মহলের মতে, হাসিনা আসলে কূটনৈতিক ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন এই অসহিষ্ণুতা আসলে পড়শী ভারত থেকেই সেদেশে ঢুকে পড়ছে । ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর যে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন হয়ে চলেছে এবং তা থেকে যেভাবে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল ফায়দা লাভের চেষ্টা করছে, হাসিনা স্পষ্ট করে না বললেও সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন। মনে করেছেন অনেকেই।

Exit mobile version