Site icon The News Nest

জামিন পেলেন প্রথম আলোর সিনিয়ার সাংবাদিক রোজিনা

rozina 1

প্রথম আলোর সিনিয়র প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রোববার বিকেলে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। রোজিনা গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দী ছিলেন।মুক্তি পাওয়ার পর রোজিনা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাংবাদিকতা চালিয়ে যাব। সাংবাদিকসহ যারা পাশে ছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ।’

আদালতে রোজিনা ইসলামের পক্ষে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও আমিনুল গনি টিটো। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সিএমএম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু।
পিপি তার বক্তব্যে বলেন, রোজিনাকে শর্তসাপেক্ষ অর্ন্তবর্তীকালিন জামিন দেয়া যেতে পারে। আসামিপক্ষে এহসানুল হক সমাজী সে বক্তব্য সমর্থন করেন।

আরও পড়ুন: কোভিডমুক্ত হয়েও প্রয়াত মইনুদ্দিন শামস, নলহাটি কেন্দ্রে শোকের ছায়া

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা দণ্ডবিধি ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন রোজিনা। তাঁকে জামিন আবেদন বিষয়ে আজ রোববার আদেশ দেন আদালত। পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তিনি জামিন পান। জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর মুক্তি পেলেন তিনি।

আদালতের জামিন আদেশের পর থেকে কারাগারের সামনে রোজিনার মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁর স্বজন, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা। বিকেলে সেই অপেক্ষার অবসান হয়। আজ বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গাড়িতে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ। শুনানিতে দুই পক্ষের আইনজীবীরা ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। তবে আদালত সেদিন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। রাষ্ট্রপক্ষের তথ্য উপস্থাপন ও জামিন বিষয়ে আজ রোববার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গত সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন রোজিনা। সেখানে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও নির্যাতন করা হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়।

শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাঁকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। শুনানি নিয়ে আদালত রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখেন।

এই আদেশের পর রোজিনা ইসলামকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবিতে কয়েক দিন ধরেই প্রতিবাদ ও আন্দোলন চলেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও গুরুত্বের সঙ্গে এ খবর প্রকাশ হয়েছে।

রোজিনা ইসলামের পাশে দাঁড়িয়েছিল বিশ্বের বহু সংস্থা। ক্রমশ বাড়ছিল আন্তর্জাতিক চাপ।তাঁর এই গ্রেফতারিকে স্বাধীন মত প্রকাশের দ্বাধীনতার ওপর জঘন্য আক্রমন বলে উল্লেখ করেছে এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

আরও পড়ুন: দলিত যুবককে জোর করে মূত্র পান করানো হল বিজেপি শাসিত কর্নাটকের পুলিশ হেফাজতে

 

Exit mobile version