ভারত ভূখণ্ডে চিনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ অব্যাহত। ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Actual Control) বরাবর সেই অরুণাচলেই মিলল চিনা অনুপ্রবেশের প্রমাণ। রাজ্যের উত্তর সুবনসিরির পরে এবার শি ইয়োমি জেলায় ঢুকে গ্রাম বানানোর অভিযোগ উঠল বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার মধ্যে ছয় কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এই গ্রাম তৈরি করেছে চিন সেনা। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রে সেই গ্রামের ছবি ধরা পড়ছে বলে দাবি এক সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের।
ভুটানের সঙ্গে চিনের সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘ দিনের। সেই সমস্যা মেটাতে ভুটানের উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করছে চিন। এ বার সরাসরি ভূটানের ভূখণ্ডে গ্রাম তৈরি করায় চিন এবং ভারত সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উপগ্রহ চিত্রে চারটি গ্রাম ধরা পড়লেও বিশেষজ্ঞদের দাবি, চারের অধিক গ্রাম তৈরি করে ফিলেছে চিন। শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েনও করা হয়েছে।
Disputed land between #Bhutan & #China near Doklam shows construction activity between 2020-21, multiple new villages spread through an area roughly 100 km² now dot the landscape, is this part of a new agreement or enforcement of #China's territorial claims ? pic.twitter.com/9m1n5zCAt4
— d-atis☠️ (@detresfa_) November 17, 2021
এদিন দু’টি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করেছে ওই টেলিভিশন চ্যানেল। প্রথমটি এই বছরের সেপ্টেম্বরের মাসের। আর দ্বিতীয়টি ২০১৯ সালে মার্চ মাসের। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে ছবিতে জনবসতির কোনও চিহ্ন নেই। কিন্তু দু’মাস আগের ছবিতে স্পষ্ট হচ্ছে ঘরবাড়ির ছবি। শি ইয়োমি জেলায় সদ্য গড়ে ওঠে এই গ্রামের ৯৩ কিলোমিটার পশ্চিমে চিনের একটি জনপদ রয়েছে। যদিও চিন সেনার এই গ্রাম তৈরির কথা রাত পর্যন্ত স্বীকার করেনি অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) সরকার ও ভারতীয় সেনা। তবে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, এই গ্রামের অবস্থান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খানিক উত্তর দিকে। একই সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও ভারতীয় সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
ভুটানের যে এলাকায় চিন নির্মাণকাজ করছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই এলাকাকে ‘চিকেনস নেক’ বলা হয়। এই এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্ব বিশাল। ফলে উপগ্রহ চিত্রে যে দৃশ্য ধরা পড়েছে তা নয়াদিল্লির উদ্বেগ অনেকটাই বাড়াল বলে মনে করা হচ্ছে।