তিব্বতের মাটিতে চিনা প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম সফর করলেন শি জিনপিং। কোনও সূচনা ছাড়া আচমকা এই সফর নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। তিব্বতকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তুলে ধরতে এই আচমকা সফর হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। উল্লেখ্য, ক্রমেই তিব্বতে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে বেজিং। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে জিনপিংকে। এরই মাঝে আচমকা তিব্বতে পৌঁছে গেলেন জিনপিং।
আরও পড়ুন : worlds oldest whiskey: এই পানীয়ের দাম কোটি টাকার ওপর, কারণ কি জানেন ?
জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবারাই তিব্বতের রাজধানী লাসায় পৌঁছান জিনপিং। চিনা সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া এই সফরের ছবি পোস্ট করে তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে। জানা গিয়েছে এই সফরে জিনপিং অরুণাচলপ্রদেশ-তিব্বত সীমান্তের কাছে অবস্থিত নিয়াংচি শহরে পৌঁছে যান। সেখানে সিচুয়ান-তিব্বত রেল প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন। সেই সফর চিনা সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়েছে।
#China : #XiJinping makes rare visit to #Tibetan town bordering #Arunachal Pradesh.#BigBreakingNews pic.twitter.com/44TnCAg8zp
— Chaudhary Parvez (@ChaudharyParvez) July 23, 2021
কেন আচমকাই তিব্বত সফরে এলেন জিনপিং? এই সফর কি কেবলই সাধারণ সফর? নাকি অন্য কোনও বার্তা দেওয়াই আসল উদ্দেশ্য। এমন নানা গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে দু’বার তিব্বতে এসেছেন জিনপিং। প্রথম বার ১৯৯৮ সালে ফুজিয়ান প্রদেশের দলের প্রধান হিসেবে। দ্বিতীয় বার ২০১১ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষবার তিব্বতে চিনের যে রাষ্ট্রপ্রধান এসেছিলেন তিনি জিয়াং জেমিন। ১৯৯০ সালে তিনি তিব্বতে এসেছিলেন।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তিব্বতকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তুলে ধরতেই এই আচমকা সফর। এখনও তিব্বতে দলাই লামার অনুরাগীদের সংখ্যা কম নয়। তাদের সকলকে বার্তা দিতে ও তিব্বত যে চিনেরই অংশ তা তুলে ধরাই জিনপিং-এর এই সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ড সীমান্তে চিনা সেনার গতিবিধি বেড়েছে। সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করছে চিনা সেনা। উত্তরাখণ্ডের বারাহোতি এলাকার প্রকৃত সীমান্ত রেখার ওপারে সাম্প্রতিককালে অতিরিক্ত গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মির। একটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, চিনা সেনার অতিরিক্ত ৩৫টি ট্রুপ মোতায়েন হয়েছে উত্তরাখণ্ডের বারাহোতি সীমন্তে। গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন চিফ অফ আর্মি স্টাফ বিপিন রাওয়াতও। এদিকে লাদাখে এখনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে এবার অরুণাচল সীমান্তের এত কাছে জিনপিং পৌঁছে যাওয়ায় জল্পনা বেড়েছে বেজিংয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে।
আরও পড়ুন : Pegasus বিতর্কে ধুন্ধুমার সংসদ, IT মন্ত্রীর বিবৃতির সময় কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে দিলেন TMC সাংসদ