#নয়াদিল্লি: অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন ডান হাতের বুড়ো আঙুলে। স্ক্যান করে দেখা গিয়েছিল হাড়ে চিড় ধরেছে শিখর ধাওয়ানের। প্রথমে জানা গিয়েছিল, তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে শিখরকে। এর মধ্যে তাঁকে মাঠে ফেরানোর চেষ্টা হবে। বদলি হিসেবে ইংল্যান্ডে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ঋষভ পন্থকে। কিন্তু তারপরেও ধাওয়ানকে ফিট করার চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। জানিয়ে দেওয়া হলো, বিশ্বকাপে আর দলে ফেরা সম্ভব হবে না শিখরের। তাঁর বিরুদ্ধে বদলি হিসেবে নাম ঘোষণা করা হলো পন্থের।
৯ জুন, ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাথান কুল্টার নাইলের লাফিয়ে ওঠা একটি বলে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান শিখর ধাওয়ান। সেই চোট নিয়েই ১০৯ বলে ১১৭ রানের দারুন ইনিংস খেলেন তিনি। তবে ব্যাট করার পর ওই ম্যাচে আর ফিল্ডিং করতে নামেনি শিখর।এরপর সোমবার চোট পাওয়া বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে স্ক্যান করা হয়। দেখা যায় আঙুলে সামান্য চিড় ধরেছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে তাঁর অন্তত তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। বিসিসিআই-এর তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টিম ইন্ডিয়ার ওপেনিং ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান বিসিসিআই-এর মেডিক্যাল টিমের পর্যবেক্ষণে থাকবেন। টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ধাওয়ান ইংল্যান্ডে দলের সঙ্গেই থেকে চোট সারাবেন।
ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্টের তত্বাবধানেই ছিলেন শিখর ধাওয়ান। বুধবার জানিয়ে দেওয়া হল, তাঁর চোট সারেনি। বিসিসিআই-এর তরফ থেকে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হল, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সেরে উঠতে উঠতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি হয়ে যাবে ধাওয়ানের। ফলে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেল তাঁর।পরিবর্তে দরজা খুলে গেল পন্থের। অথচ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণার সময়ে দেশের নির্বাচকরা বাঁ হাতি পন্থকে দলেই রাখেননি। অভিজ্ঞতার দোহাই দিয়ে বাঁ হাতি প্রতিভাবানকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল।
নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। তবে শিখরের বদলি হিসেবে টিম ম্যানেজমেন্ট পাকিস্তান ম্যাচের আগে তড়িঘড়ি উড়িয়ে নিয়ে যায় ঋষভ পন্থকে। পাকিস্তান ম্যাচের আগের দিন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পন্থকে দেখা যায় ধোনির সঙ্গে কথা বলতে। রবিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ গ্যালারিতে বসেই উপভোগ করলেন তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় মাঠে জল নিয়ে যেতেও দেখা যায় শিখর ধাওয়ানকে। তবে শিখরের পরিবর্তে পাকিস্তান ম্যাচে রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে নামেন কেএল রাহুল। রোহিতের সঙ্গে একশো রানের ওপেনিং পার্টনারশিপও করেন রাহুল। সরফরাজ আহমেদের দলকে হারানোর পরে পন্থকে দেখে নেওয়ার কাজ শুরু করে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁকে নিয়ে সন্তুষ্ট হেড কোচ রবি শাস্ত্রীও। বিশ্বকাপের পরবর্তী ম্যাচগুলোয় পন্থকে কীভাবে ব্যবহার করেন বিরাট কোহালি, সেটাই দেখার।