ডেনমার্কে (Denmark)। রীতিমতো সরকারি উদ্যোগে একদিনে মেরে ফেলা হল নিরীহ ডলফিনদের। ডেনমার্কের ফারোই দ্বীপে একসঙ্গে ১ হাজার ৪০০ ডলফিনকে মারা হয়েছে মঙ্গলবার। সারি সারি ডলফিনের (Dolphin) মৃতদেহ দেখে স্তম্ভিত নেটিজেনরা।
কেন মারা হল অতগুলি ডলফিনকে? সরকারি মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, উত্তর আটলান্টিক দ্বীপগুলিতে তিমি শিকারের ঐতিহ্য রয়েছে। যাঁরা সেই শিকার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানেন না তাঁর অবাক হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি এমন বললেও ঘটনা হল তিমি শিকারের ঐতিহ্য থাকলেও ওই অঞ্চলে ডলফিন শিকারের সঙ্গে কোনও ঐতিহ্যেরই সম্পর্ক নেই। এরপরও নির্বিবাদে অসহায় প্রাণীগুলির সঙ্গে এহেন আচরণ ঘিরে বিতর্ক বাড়ছে।
আরও পড়ুন: মায়ানমারের মুসলিম বিরোধী বৌদ্ধ ভিক্ষু উইরাথুকে মুক্তি দিল জুন্টা
সরকারি তরফে চারদিক থেকে শিকারকে ঘিরে ধরে কীভাবে হত্যালীলা চালানো হয়েছে তার বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের প্রতি রুষ্ট স্থানীয় বাসিন্দারাও। জানা যাচ্ছে, ৫৩ শতাংশ দ্বীপবাসীই এই ধরনের শিকারের তীব্র বিরোধী। গত বছরও অসংখ্য তিমিহত্যার ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছিলেন তাঁরা। ডলফিন হত্যার ঘটনারও বিরোধিতা করেছেন বহু মানুষ।
ডলফিনের সারিবদ্ধ মৃতদেহ দেখে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরাও। সমুদ্রতটে ডলফিনগুলির মৃতদেহ দেখে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন অনেকেই। ডলফিন স্বভাবগত ভাবেই মানুষের ‘বন্ধু’। তাদের বুদ্ধিমত্তা দেখে বিস্মিত হন অনেকেই। সেই প্রাণীগুলিকে এভাবে বিনা কারণে হত্যা করা দেখে নেটিজেনরা তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরই ওই দ্বীপে প্রায় ৬০০ তিমিকে অকারণে হত্যা করা হয়। সাধারণ ভাবে পাইলট হোয়েলের সংখ্যা ১ লক্ষেরও বেশি। কিন্তু তিমি হত্যা বাড়লে তারাও বিপন্ন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।Sea Shepherd নামে একটি চ্যারিটি সংস্থা এই শিকারের ঘটনাকে বর্বর বলে অভিহিত করেছে।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর এই হ্রদের জলে একবার নামলেই পাথর হয়ে যায় পশুপাখি