আকর্ষণীয়, দ্রষ্টব্য জায়গার কোনও অভাব নেই দুবাই শহরে। এবার সেগুলোর সঙ্গে যোগ হল ‘দুবাই আই’। ২১ অক্টোবর আতশবাজি প্রদর্শনের মাধ্যমে এই ‘দুবাই আই’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
আড়াইশ মিটার উঁচু এই নাগরদোলা থেকে একসঙ্গে প্রায় ১৮০০ পর্যটক দুবাইয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এই নাগরদোলা বর্তমানে মেট্রোপলিটন স্কাইলাইনের মূল অংশ। আরও বেশি পরিমানে পর্যটক আকৃষ্ট করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
লাস ভেগাসের হাই রোলার, শিকাগোর নেভি পিয়ের, লন্ডনের লন্ডন আই বা কানাডার নায়াগ্রা স্কাই হুইলের চেয়েও উঁচু এই দুবাই আই। এতে মোট ৪৮টি বদ্ধ কেবিন রয়েছে। এক একটি কেবিনে ৪০ জনের বেশি পর্যটক উঠতে পারবেন। ফলে এই নাগরদোলা থেকে একসঙ্গে প্রায় ১৮০০ মানুষ গোটা দুবাইয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘এইন দুবাই’, যার অর্থ ‘দুবাইয়ের চোখ’। লন্ডন আইয়ের দ্বিগুণ উচ্চতার এই ‘অবজারভেশন হুইল’ থেকে দেখা যাবে দুবাই শহরের দিগন্ত বিস্তৃত দৃশ্য। দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহামেদ বিন রশিদ আল মাখতুম ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। দুবাই আই-এর একটি পডের মাথায় বসে কফি খাচ্ছেন তিনি।
প্রতিটি রাইড ৩৮ মিনিটের। প্রতিটি রাইডে ঘূর্ণন হবে একবার কিংবা বড়জোর দু’বার। দু’বার হলে সময় লাগবে ৭৬ মিনিট। নানা ধরনের সেলিব্রেশন প্যাকেজও আছে। বিয়ে, এনগেজমেন্ট, জন্মদিন, ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানেও ভাড়া নেওয়া যাবে। ভিআইপি অতিথিদের জন্য আছে কাস্টমাইজেবল কেবিন। অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাতে কোনও সমস্যা হবে না। প্যারিসের আইফেল টাওয়ার তৈরিতে যত ইস্পাত লেগেছে, তার চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি ইস্পাত ব্যবহৃত হয়েছে দুবাই আই বানাতে।