ওয়েব ডেস্ক: গাছের সবুজ রং অন্দরে আনে প্রাণের স্পর্শ। তাই যত দামি সোফাই রাখুন কিংবা ল্যাম্পশেড, একটি গাছ যা পারে, ততটা শোভনীয় কিন্তু ওই মূল্যবান সামগ্রীও করে তুলতে পারে না। এখন তো ফ্ল্যাটের যুগ। বাগান করার জায়গা নেই। তাই ঘরেই রাখুন ইনডোর প্ল্যান্ট।
কিছু কিছু গাছ (Indoor Plants That Clean The Air) আছে যা ঘরে রাখলে একদিকে যেমন আপনার ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ থাকবে, তেমনই গাছগুলো ঘরের শোভাও বাড়াবে।
মানি প্ল্যান্ট
হৃদয় আকৃতির পাতা থাকে এই গাছগুলোতে, বেশ শক্তপোক্ত গাছ হয় এগুলো, এটি সাধারণত একটি ইনডোর প্ল্যান্ট। এর রক্ষণাবেক্ষণে খুব একটা কসরতও করতে হয় না। এই গাছটি রাতে অক্সিজেন দেয় এবং বায়ুকে পরিশুদ্ধ করে। তাছাড়া দেখতেও ভারী সুন্দর এই গাছ।
আরেকা পাম
এই গাছটি ফর্মালডিহাইড এবং বেনজিনের মতো ক্ষতিকারক গ্যাসগুলি শোষণ করতে পারে। আসলে, এই গাছটি কেবল বাতাসকে পরিশুদ্ধই করে না, এটি বাতাসে আর্দ্রতাও যুক্ত করে এবং সাইনাসের সমস্যায় ভোগা মানুষজনের উপকারে আসে। ছায়া ছায়া পরিবেশেই এটি বেড়ে উঠতে পছন্দ করে, তাই একে অন্দর সজ্জার জন্যে রাখাই যায় ঘরে।
আরও পড়ুন: ভ্রমনপিপাসু বাঙালির জন্যে সু -খবর! ৮ জুন থেকে খুলতে চলেছে বাংলার পাঁচটি পর্যটন কেন্দ্র
জারবেরা
যারা খুব অল্প যত্নেই উজ্জ্বল রঙের ফুল ফোটাতে চান তাঁরা ঘরে রাখতেই পারেন জারবেরা। এই গাছটি বার্বারটন ডেইজি নামেও পরিচিত – এটি বায়ু পরিশোধক উদ্ভিদ। মহাকাশ স্টেশনগুলিতে বায়ু পরিষ্কার করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে গবেষণা করার জন্য নাসা জারবেরাকে গাছ ব্যবহার করে।
স্নেক প্ল্যান্ট
এই গাছটি শুধু যে সুন্দর দেখতে তাই নয়, এটা আপনার বাড়ির বাতাসকে বিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে। ঘরের জানলা দিয়ে যেটুকু রোদ আসে বেঁচে থাকার জন্যে এই গাছের সেটাই যথেষ্ট। এই গাছ আপনার চারপাশের বাতাস থেকে ফর্মালডিহাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, বেনজিনের মতো টক্সিন অপসারণ করে বাতাসকে শুদ্ধ করে।
তুলসি
তুলসি এমন একটি গাছ যাকে ওষধি গাছও বলেন অনেকে। দারুণভাবে বায়ু-পরিশোধনকারী এই গাছটি। এটি সামান্য সূর্যের আলোতেই বেড়ে উঠতে পারে এবং ক্ষতিকারক টক্সিনগুলি টেনে নিয়ে বায়ুকে শোধন করতে পারে।
কোভিড-১৯ এর বাড়বাড়ন্তে এই সত্যটি পরিষ্কার যে, জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করলে মানুষও বাঁচতে পারবে না তাই পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা ছড়িয়ে দিন সকলের মধ্যে…দেখুন ভিডিও…
আরও পড়ুন: বড় বিপদ বাইরে! ফেস মাস্ক আর ফেস শিল্ড – দুটোর মধ্যে কোনটা বেশি কাজের?