Find out briefly what actually happened in the attack on Radhakanta Jiu Iskcon temple in Dhaka

ঢাকায় রাধাকান্ত জিউ ইসকন মন্দির হামলায় আসলে কী ঘটেছে, জেনে নিন সংক্ষেপে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বাংলাদেশে পুরোনো ঢাকার ওয়ারী এলাকায় একটি ইসকন মন্দিরে একদল দুস্কৃতকারী হামলা চালিয়ে সীমানা প্রাচীরের একটা অংশ ভেঙেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।রাধাকান্ত জিউ ইসকন মন্দির নামের এই মন্দিরের পুরোহিত অমানি কৃষ্ণ দাশ অভিযোগ করেছেন, দুস্কৃতকারীরা আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর ভাঙার সময় প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুরোহিতের দু’জন সহকারী আহত হয়েছে। পুরোনো ঢাকার ওয়ারী এলাকায় লালমোহন সাহা স্ট্রিটে সাড়ে ১৬ কাঠা জায়গা নিয়ে এই মন্দির। এটি প্রায় দু’শো বছরের পুরোনো মন্দির বলে দাবি করছে এর কর্তৃপক্ষ।

এই ঘটনার পেছনে রয়েছে জমি নিয়ে বিরোধ। হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বলেছে, মন্দিরের জমি নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহলের সঙ্গে বিরোধের জেরে এই হামলা হয়েছে।এদিকে স্থানীয় পুলিশ বলছে, হামলার অভিযোগ সঠিক নয়। জমির মালিকানা দাবিদার একটি পক্ষ সেখানে সংস্কার কাজ করার সময় পুরোনো দেয়াল ভেঙে পড়েছে। হামলার অভিযোগ ওঠার পর মন্দিরটিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্দিরটিতে বৃহস্পতিবার আসলে কী ঘটেছে, সেই প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।

মন্দিরের পুরোহিত অমানি কৃষ্ণ দাশ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর শ’দুয়েক লোক এসে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে এবং মন্দিরের পুরোহিতের দু’জন সদস্য প্রতিরোধ করতে গেলে হামলাকারীরা তাদেরও আক্রমণ করে।তিনি আরও অভিযোগ করেন, সীমানা প্রাচীর ভাঙার পর হামলাকারীরা মন্দির চত্বরে ঢুকে সেখানে থাকা একটি মূর্তি এবং নির্মাণ কাজের কিছু লোহার রড নিয়ে যায়।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের একটি দল আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মন্দিরটির সীমানা প্রাচীরের একটি অংশ ভাঙা ছাড়া মূর্তি নেয়া বা লুটপাটের কোন তথ্য পায়নি।ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ তাদের সংগঠনের ঐ টিমের নেতৃত্বে ছিলেন।

তিনি বলেছেন, সেখানে পরিদর্শন করে তারা শুধু দেখতে পেয়েছেন যে মন্দিরটির প্রাচীন জরাজীর্ণ সীমানা দেওয়ালের একটা অংশ হামলাকারীরা ভেঙেছে। সে সময় বাধা দিতে গিয়ে পুরোহিতের দু’জন সহকারী আহত হয়েছেন। এছাড়া মন্দিরের ভেতরে হামলাকারীদের অন্য কোন অঘটন ঘটানোর কোন তথ্য তারা পাননি। সবপক্ষই বলছে জমি নিয়ে বিরোধের জীৱেই এই কাণ্ড। হামলার বিষয়ে টুইটারে এক পোস্টে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দুস হ্যান্ডেল থেকে সেই পোস্টে বলা হয়, মন্দিরে হামলা করে মূর্তি ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়েছে এবং হামলা করা হয় বৃহস্পতিবার শবেবরাতের রাতে। এর ওপর ভিত্তিতে করে ভারতের বহু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচার করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার রাতে শবেবরাত উজ্জাপন হয়নি। এছাড়া মন্দিরের ভেতরে প্রতিমা ভাঙচুর কিংবা লুটপাটের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। সব পক্ষই বলেছে এর সঙ্গে ধর্মীয় বিষয় জড়িত নয়। জমি নিয়ে বিরোধ থেকে মন্দিরের সীমানা প্রাচীরের একটা অংশ ভাঙার ঘটনাটি ঘটেছে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest