এ ফুলের পরিচিতি তার দুর্গন্ধের জন্য ৷ এর পোশাকি নাম ‘কর্পস ফ্লাওয়ার’ (Corpse Flower) বা ‘শবফুল’৷ এই ফুলের গন্ধ পচা মানবদেহের মতো৷ কিন্তু তার পরও হাজার হাজার মানুষ এক বার তার কাছে যেতে চায়৷ আকার ও আকৃতির জন্য এই ফুলের আর এক নাম ‘পেনিস প্ল্যান্ট’ (Penis Plant)৷ প্রস্ফুটিত এই ফুলের দিকে তাকালে এক ঝলকে মনে হয় পুরুষাঙ্গের কথা৷ এই ফুল খুবই বিরল৷ সম্প্রতি এটি ইউরোপে (Europe) ফুটেছে৷ ইতিহাসে তৃতীয় বারের জন্য ৷
প্রায় সাড়ে ছ’ফুট লম্বা ওই পেনিস গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘আমোরফোফ্যালাস ডেকাস-সিলভি’। ‘আমোরফোফ্যালাস’-এর অর্থই নির্দিষ্ট ‘আকারবিহীন পুরুষাঙ্গ’। এই গাছে ফুল ফুটতে সাধারণত ২০ বছরের বেশি সময় লাগে। গত ১৯ অক্টোবর লেইডেন হর্টাস বোটানিকাসের ওই গাছে ২৫ বছর পর ফুল ফুটতে দেখা গেল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইওরোপে এই নিয়ে তৃতীয় বার পেনিস গাছে ফুল ফুটতে দেখা গেল।
পেনিস গাছ প্রথম জন্মায় ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে। লেইডেনের বোটানিক্যাল গার্ডেনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, এই গাছকে বড় করে তোলা খুবই শক্ত। পেনিস গাছের বেড়ে ওঠার জন্য চাই ভীষণই উষ্ণ এবং মাঝারি আর্দ্র আবহাওয়ার। মাংস পচলে যেমন গন্ধ বেরোয়, এই গাছে ফুল ফুটলে তেমনই গন্ধ পাওয়া যায় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পচা গন্ধে আকৃষ্ট হয় অসংখ্য মাছি ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ৷
নেদারল্যান্ডসের লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানিক্যাল গার্ডেন ইনস্টাগ্রামে পেনিস প্ল্যান্টের ছবি পোস্ট করেছে৷ সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘‘ফুলটি সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হয়েছে৷ সঙ্গে হাজির এর গন্ধও!’’