কানাডায় তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশটিতে পুরোনো সব রেকর্ড ভেঙেছে সাম্প্রতিক দাবদাহ। গত শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত ভ্যানকুভার এলাকায় ১৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। দাবদাহে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে অধিকাংশই প্রবীণ অথবা অন্য কোনও অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন : সুইডেনকে হারিয়ে ইউরোর কোয়ার্টারে ইউক্রেন, গ্লাসগোয় বাঁধনহারা উৎসব
গত তিনদিন ধরেই কানাডায় তাপমাত্রার রেকর্ড হচ্ছে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার লাইটন এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২১.৩ ফারেনহাইট), যা কানাডীয়রা আগে কখনোই দেখেনি।
এই সপ্তাহের আগে কানাডার তাপমাত্রা আগে কোনো দিন ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরেও ওঠেনি। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেও তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে এবং বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভ্যানকুভারের বার্নাবে ও সারে শহরতলিতে গত শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত ১৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর পেছনে সাম্প্রতিক তীব্র দাবদাহের প্রভাব রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু ভ্যানকুভারেই ৬৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং আলবার্টা প্রদেশসহ সাসকাচেওয়ান ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে জরুরি তাপমাত্রা সতর্কতা জারি করেছে কানাডার পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন দফতর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এমন তীব্র দাবদাহ দেখা দিয়েছে। এনভায়রনমেন্ট কানাডার জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ডেভিড ফিলিপস বলেন, আমরা পৃথিবীর শীতলতম এবং তুষারাচ্ছন্ন দেশ। আমরা মাঝে মধ্যেই শীতের ঝটকা বা প্রবল তুষারঝড় দেখতে পাই। এ ধরনের উত্তপ্ত আবহাওয়ার বিষয়ে সাধারণত কথা বলি না।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রধান লিসা ল্যামপয়েন্টে বলেন, গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত শতাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
আরও পড়ুন : TOKYO OLYMPIC : টোকিওর স্বপ্ন শেষ হতে চলেছে হিমার!