Helping India in muktijuddho, this Pak lieutenant's contribution to the independence of Bangladesh, received Padma Shri

মুক্তিযুদ্ধে ভারতকে সাহায্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অবদান এই পাক লেফটেন্যান্টের, পেলেন পদ্মশ্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মশ্রী। এই বছরে সেই সম্মানে ভূষিত হন এক প্রাক্তন পাক সৈনিক! মুক্তিযুদ্ধে ভারতকে সাহায্য করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েন এই পাক লেফটেন্যান্ট কর্নেল। লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজি সাজ্জাদ আলি জহির একজন প্রাক্তন পাকিস্তানি সৈনিক। তিনি ভারতে পাড়ি দিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সাহায্য করেছিলেন।

যদিও এত বছর আগে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জহিরের নাম চাপা ছিল (কারণ সামরিক বাহিনী সংক্রান্ত অনেক বিষয়ই গোপনীয় থাকে)। তবে এতবছর পর স্পটলাইটে এলেন তিনি। যখন তিনি এই সপ্তাহে পদ্মশ্রী গ্রহণের জন্য মঞ্চে পা রাখলেন, তখন তাঁর সেই বীরত্বের গাঁথা ফের একবার প্রকাশ্যে এল। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পদ্মশ্রী দেওয়া হয় লেফটেন্যান্ট কর্নেল জহিরকে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজি সাজ্জাদ আলি জহির ভারত এবং বাংলাদেশকে সাহায্য করার জন্য তাঁর জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। শিয়ালকোটে নিযুক্ত ২০ বছর বয়সী লেফটেন্যান্ট কর্নেল জহির ভারতে এমন একটা সময়ে পাড়ি দেন, যখন বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অন্য স্তরে পৌঁছেছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল জহির এমন একটি নাম যা পাকিস্তানিরা আজও ঘৃণা করে। প্রাক্তন পাক সামরিক আধিকারিক জানান, গত ৫০ বছর ধরে পাকিস্তানে কর্নেল জাহিরের নামে মৃত্যুদণ্ডের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তবে বাংলাদেশে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জহিরকে বীর প্রতীক এবং দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান স্বাধীনতা পদকের মতো বীরত্বের পদকে সম্মানিত করা হয়েছে। এবার ভারতও উপমহাদেশের সামরিক ইতিহাসে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে তাঁকে পদ্মশ্রী দিয়েছে।

ভারতে আসার পরেও তাঁর সমস্যা শেষ হয়নি। এখানে তাঁকে স্বাভাবিকভাবেই একজন পাকিস্তানি গুপ্তচর বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং পরে পাঠানকোটে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিনিয়র অফিসাররা তাঁকে জেরা করেছিলেন। তবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জহির পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গোপনীয় নথি উপস্থাপন করে নিজের যুক্তি পেশ করেন। পরে তাঁকে দিল্লিতে একটি সেফ হাউসে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে ভারতীয় গোয়েন্দারা তাঁর সঙ্গে সমন্বয় স্থাপন করেছিল। পরে প্রাক্তন পাকিস্তানি এই সৈনিক বাংলাদেশে চলে যান। সেখানে তিনি মুক্তিবাহিনীকে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করেন মুক্তিযোদ্ধাদের।

বাংলাদেশের মাটিতে দঁড়িয়ে নিজেকে মুক্তি যোদ্ধা বলে দাবি করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এও বলেছিলেন যে সে কারণে তাঁকে জেল খাটতে হয়েছিল।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest