If necessary, British Prime Minister Boris wants to work with the Taliban, more lonely New Delhi

প্রয়োজনে তালিবানের সঙ্গেও কাজ করতে চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস,আরও নিঃসঙ্গ নয়া দিল্লি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আফগানিস্তানের সমস্যা কূটনৈতিক ভাবেই মেটানোর চেষ্টা করা হবে। প্রয়োজনে তালিবানের সঙ্গে কাজ করতেও রাজি সরকার, শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথাই বললেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আফগানিস্তানে তালিবান কর্তৃত্বকে আগেই প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিয়ে রেখেছে রাশিয়া এবং চিন। সমর্থন করেছে পাকিস্তান।

রবিবারই পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি কাবুল পৌঁছেছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতির কারবারিদের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গ তো বরাবরই পেয়ে এসেছে তালিবান। পাকিস্তান যদি শক্তি-সহচর না হত, তা হলে তালিবানের পক্ষে এত দ্রুত অগ্রসর হওয়া সম্ভব হত কি না, তা নিয়ে তো প্রশ্ন রয়েছেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্রিটেনও তালিবান-প্রশ্নে সুর ‘নরম’ করায় নয়াদিল্লি আরও কিছুটা নিঃসঙ্গ হল বলেই মনে করছেন ভূ-রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা।

ভারত, জার্মানি, তাজিকিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ নিয়ে তৈরি কাতার জোটের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, সামরিক শক্তি খাটিয়ে কাবুল দখল করা হলে আফগানিস্তানের সরকারে তালিবানকে মান্যতা দেওয়া হবে না। ঠিক তার উল্টো অবস্থান নিয়ে তালিবান-প্রশ্নে মাথা না-ঘামানোর বার্তাই দিয়েছে চিন।

রুশ প্রেসি়ডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও সম্প্রতি বলেন, ‘‘তালিবান আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মতামত আফগানিস্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।’’ মোদ্দাকথা, ‘সন্ত্রাস’ আফগানিস্তানের বাইরে না-গড়ালে রাশিয়াও তালিবান নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাবে না।

আরও পড়ুন : চাঁদের আলোয় মোহময়ী রূপ তাজমহলের, দেড় বছর পর রাতে খুলল দরজা

সেনা প্রত্যাহারের পর কার্যত একই অবস্থান নিয়েছে ওয়াশিংটনও। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথাতেই স্পষ্ট যে, উপমহাদেশের শক্তিধরেরা নিজেদের মধ্যে যুযুধান হলেও কিছু যাবে আসবে না বাইডেন প্রশাসনের, যত ক্ষণ না তার আঁচ আমেরিকায় এসে পড়ছে। হাত গুটিয়ে নিয়েছে ইরানও।

অন্য দিকে, নিজের অবস্থান নিয়ে এখনও সন্দিহান সাউথ ব্লক, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। এই প্রসঙ্গে অবশ্য উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদী টুইটারে লেখেন, ‘সন্ত্রাসের সাম্রাজ্য কখনওই চিরস্থায়ী হয় না।’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য যে আফগানিস্তানের তালিবান-কর্তৃত্বকে নিশানা করেই, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে। পরবর্তী পরিস্থিতিতে তালিবান-প্রশ্নে ভারত কী অবস্থান নেয়, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন : ‘দু’দিনের মধ্যে নিজামুদ্দিন মারকাজ বাসভবন খোলার ব্যবস্থা করুন’, পুলিশকে নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest