Iran threatens to annihilate Israel should it launch a major attack

Iran: ইরানের ওপর ফের হামলা হলে ইসরায়েল বলে কিছু থাকবে না: রাইসি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ইরানি ভূখণ্ডের ওপর ফের কোনো হামলা হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানের ওপর হামলা চালায় তাহলে ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পাকিস্তান সফরের দ্বিতীয় দিনে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে এমন হুঁশিয়ারি বাক্য উচ্চারণ করে রাইসি বলেন, “যদি ইসরায়েল আবারও ইরানের ওপর হামলা করে তাহলে ইসরায়েল আর থাকবে না।” Iran threatens to annihilate Israel should it launch a major attack

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। কনস্যুলেটে হামলাকে নিজেদের ভূখণ্ডের ওপর হামলা হিসেবে অভিহিত করে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয় তেহরান।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, “যদি ইসরায়েল আরেকবার ভুল করে এবং পবিত্র ইরানের সার্বভৌমতাকে লঙ্ঘন করে তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।”ইরানের বিশাল হামলার পাল্টা জবাব দিতে ইরানের ইস্ফাহানে ছোট হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। তবে উত্তেজনা থামিয়ে দিতে ইরান বিষয়টি চেপে যায়। এছাড়া ইসরায়েলও আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। ওই হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডস কর্পসের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি, তার ডেপুটি জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমি ছাড়াও আরও পাঁচজন সহকারী অফিসার নিহত হন।

এর প্রতিশোধ হিসেবে গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সিরিজ হামলা চালায় ইরান। ‘ট্রু প্রমিজ’ নামের প্রতিশোধমূলক ওই হামলায় অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে অবস্থিত ইসরাইলি সামরিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি তেহরানের।

এদিকে, ইরানের পক্ষ থেকে ওই প্রতিশোধমূলক হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন তেহরানের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে তাকে আগ্রাসীদের জন্য পুরস্কার বলে উল্লেখ করেন নাসের কানয়ানি। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ইরান তার বৈধ অধিকার হিসেবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালিয়েছে, আর তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে- এটি বিস্ময়কর ব্যাপার। অথচ গাজায় অবর্ণনীয় বর্বরতা চালালেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা তার বক্তব্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে মনে করিয়ে দেন যে, ইরান তার বিরুদ্ধে আগে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এগিয়ে গেছে।‘নিষেধাজ্ঞা নীতি একটি ব্যর্থ নীতি’ অ্যাখা দিয়ে নাসের কানয়ানি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার’ আহ্বান জানান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest