Site icon The News Nest

প্রথম মহিলা হিসাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘দায়িত্বে’ কমলা হ্যারিস, চিকিৎসার জন্য ছুটিতে জো বাইডেন

kamala

মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবার প্রেসিডেন্টের ভূমিকা পালন করতে চলেছেন কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভুত। ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলা হ্যারিস (Kamala Harris) আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট। আর এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাতে চলেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস। যদিও তা সাময়িকভাবে।

আসল ঘটনা হচ্ছে নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য সাময়িকভাবে ‘দায়িত্ব পালনে অক্ষম’ থাকবেন দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাই দেশের শাসনভার সাময়িকভাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) হাতে তুলে দিচ্ছেন তিনি। এই গোটা প্রক্রিয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি রয়েছে মার্কিন সংবিধানে।

হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, গত জানুয়ারি মাসে মসনদে বসার পর প্রথম রুটিন চেক-আপ হতে চলেছে বাইডেনের। শুক্রবার ওয়াশিংটনের বাইরে ‘রিড মেডিক্যাল সেন্টারে’ কলনোস্কোপি করা হবে তাঁর। সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন তাঁকে অজ্ঞান করা হবে। সেই সময় দেশের সর্বেসর্বা হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তাঁর হাতেই থাকবে মার্কিন ফৌজ ও আণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের নিয়ন্ত্রণ। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, “এনেস্থেসিয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন কিছুক্ষণের জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সেই সময় হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে নিজের অফিস থেকেই কাজ করবেন হ্যারিস।”
বলে রাখা ভাল, আমেরিকার ইতিহাসে এমন ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘটনা বিরল নয়। ২০০২ ও ২০০৭ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রও কলনোস্কোপির সময় খানিকের জন্য ভাইস প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছিলেন। গত বছরের নভেম্বরে আমেরিকার প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হন কমলা হ্যারিস। আমেরিকায় নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেন ক্যালিফোর্নিয়ার ৫৬ বছরের সেনেটর।
তবে তারপর থেকে দু’জনের মধ্যে সমস্যা বাড়তে থাকে বলে খবর। সম্প্রতি, বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বাইডেন-কমলা সম্পর্কের অবনতির কথা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন দাবি করে, ‘ওয়েস্ট উইং’ নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। আসলে হোয়াইট হাউসের কর্তাদেরই এককথায় ওই নামে বোঝানো হয়। এই নামে পুরনো টিভি ধারাবাহিকও আছে। বলা হচ্ছিল, ওয়েস্ট উইং কমলার প্রতি এখন আর সদয় নয়। পাশাপাশি বলা হয় কমলাও নাকি মার্কিন প্রশাসনের উপরে রুষ্ট।
কিন্তু আজ এই ছবি দেখে অন্তত এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, কিছুটা ফাটল যদিও বা ধরে থাকে, তা এখনও পুরোপুরি ছিন্ন হয়ে যায়নি। এখনও ‘কঠিন সময়ে’ নিজের ডেপুটি হ্যারিসের উপরেই ভরসা রাখলেন বাইডেন। সাময়িক সময়ের জন্য হলেও ‘বিশ্বস্ত’ কমলা হ্যারিসের হাতেই দিয়ে গেলেন আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনী এবং পারমানবিক শক্তির গুরু দায়িত্ব।
Exit mobile version