১ লক্ষ ২৫ হাজার ৯০০ শিক্ষককে বরখাস্ত করল মিয়ানমার জান্তা

যদি প্রকৃতপক্ষেই সরকার এত বিপুল পরিমাণ শিক্ষককে বরখাস্ত করে, তাহলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় সোয়া লাখেরও বেশি শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। মিয়ানমার শিক্ষক ফেডারেশনের সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

নতুন বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগেই এ পদক্ষেপ নিল দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার। যদিও ইতোমধ্যেই অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক অভ্যুত্থান-বিরোধীতার অংশ হিসেবে স্কুল বয়কট করছেন।

আরও পড়ুন : দলিত যুবককে জোর করে মূত্র পান করানো হল বিজেপি শাসিত কর্নাটকের পুলিশ হেফাজতে

শিক্ষক ফেডারেশনের এক শিক্ষক জানিয়েছে জানিয়েছেন, মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। জান্তা সরকারে ওয়ান্টেড লিস্টে রয়েছেন ওই শিক্ষক।দুই বছর আগের এক হিসাব অনুযায়ী, মিয়ানমারে ৪ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষক আছেন।

ওই শিক্ষক বলেন, ‘এই বিবৃতিগুলো আসলে জনগণকে কাজে ফেরানোর জন্য হুমকি। তারা যদি আসলেই এতজন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে, পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।’ তিনি আরও বলেন, কাজে ফিরে গেলে তার ওপর থেকে অভিযোগ তুলে নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জান্তা সরকারের মুখপাত্র বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার শিক্ষাব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

যদি প্রকৃতপক্ষেই সরকার এত বিপুল পরিমাণ শিক্ষককে বরখাস্ত করে, তাহলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি কাজে ফিরলে তার নিজের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় কথা বলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সামরিক জান্তা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার পত্রিকা শিক্ষক ও ছাত্রদের স্কুলে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে আবার শিক্ষা কার্যক্রম চালানো যায়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১লা ফেব্রুয়ারি  সুচিকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা। এর প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে পুরো দেশ। সরকারি বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিক্ষোভে শরিক হন।

আরও পড়ুন : কলকাতায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ যাদবপুর-বেহালায় : সমীক্ষা রিপোর্ট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest