Site icon The News Nest

‘আজ থেকে সব মৃত্যুর দায় ন্যাটোর’, ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

jelenski

রুশ বোমাবর্ষণে কার্যত ধ্বংসস্তূপ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ-সহ বেশ কয়েকটি শহর। ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। কিন্তু কিয়েভের শত আর্তি সত্বেও সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে বা সেনা পাঠাতে নারাজ আমেরিকা ও ন্যাটো। এহেন পরিস্থিতিতে ন্যাটো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ১০ম দিনে গড়িয়েছে। শনিবার ইউক্রেনের উত্তর, পূর্ব, ও দক্ষিণ এলাকায় বড় ধরনের যুদ্ধ চলছে।এ অবস্থায় ইউক্রেনের আকাশসীমায় বিমান চলাচল নিষিদ্ধ না করায় ন্যাটোর ওপর ক্ষুব্ধ দেশটির প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।

ন্যাটোর দাবি, এ অবস্থায় ইউক্রেনের আকাশসীমায় রনা-ফ্লাইজোন ঘোষণা করলে যুদ্ধ গোটা উইরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে।নো–ফ্লাই জোনের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, এটাতে ভুগবে ইউক্রেনও। দেশটির যুদ্ধবিমানগুলোও রুশ সেনাদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।যদিও নো-ফ্লাই জোনের বিরুদ্ধে আসা যুক্তিগুলো খুব বেশি বিশ্বাসযোগ্য নয়। নো-ফ্লাই জোন মানে এই নয় যে কোনো উড়োজাহাজ ওড়ার অনুমতি না দেওয়া।

নো-ফ্লাই জোনের নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধবিমান দিয়েই বাস্তবায়ন করা হয়। এ সময় বিমানগুলো ক্রমাগত আকাশে টহল দিয়ে থাকে। নো-ফ্লাই জোন শুধু শত্রু যুদ্ধবিমানের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।যদি ইউক্রেনীয় যুদ্ধবিমানগুলো ন্যাটোর ‘বন্ধু বা শত্রু শনাক্তকরণ’ যন্ত্র দিয়ে সজ্জিত থাকে, তাহলে স্থল রুশ বাহিনীকে সাহায্য করা হেলিকপ্টারগুলোকে ঠেকিয়ে দিতে পারে।মারিয়াপোল বন্দরনগরী ঘিরে ফেলেছে রাশিয়ার সৈন্যরা। কিয়েভ ও খারকিভে গোলাবষর্ণ চলছে।এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের আরও একটি পারমাণবিক কেন্দ্রে দখলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

 

Exit mobile version