Pak Horror: '200 Half-nude Decomposing' Bodies Found at Rooftop of Hospital

Pak Horror: হাসপাতালের ছাদে ২০০ পচাগলা নগ্ন দেহের স্তূপ! পাশতুন বা বালোচ বিদ্রোহীদের গুম খুনের অভিযোগ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পাকিস্তানের (Pakistan) সরকারি হাসপাতালের ছাদে মিলল অসংখ্য নগ্ন পচাগলা দেহ! এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সেদেশের পঞ্জাব প্রদেশে (Punjab province)। ইতিমধ্যেই ওই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ ইলাহি ৬ সদস্যের একটি উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠন করেছেন।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা চৌধুরি জামান গুজ্জর জানিয়েছেন, তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করছিলেন। সেই সময় এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলেন, ‘‘আপনি যদি সত্যি ভাল কাজ করতে চান তাহলে মর্গে যান। নিজের চোখে দেখুন কী চলছে।’’ জামান জানিয়েছেন, তিনি হাসপাতালের মর্গে পৌঁছলে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেন কর্মীরা। কিন্তু তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘মর্গে ঢুকতে না পারলে সবার বিরুদ্ধে এফআইআর করব।’’ জামানের আরও দাবি, তিনি যখন চিকিৎসকদের লাশের স্তূপের কথা জিজ্ঞাসা করেন তখন জবাব পান, ওই দেহগুলি চিকিৎসা বিজ্ঞানের পডুয়াদের ব্যবহারের জন্য রাখা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: Iran Hijab Protest : হিজাব না পরায় তরুণীকে পিটিয়ে হত্যা পুলিশের, প্রতিবাদে উত্তাল ইরানে প্রাণ গেল ৫ বিক্ষোভকারীর

মুলতানের পঞ্জাব নিশতার হাসপাতালে যে ৪০০টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে বহু দেহ থেকে অঙ্গপ্রতঙ্গ বার করে নেওয়ার চিহ্ন মিলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক দাবি করেছেন, শারীরিক গঠন এবং পরনের পোশাক দেখে প্রাথমিক ভাবে মৃতদেহগুলো বালোচ বা পাশতুনদের বলে মনে করা হচ্ছে। বালোচ বা পাশতুনদের শারীরিক গঠন পাহাড়ি এলাকায় মানুষের শারীরিক গঠনের মতো। এই প্রসঙ্গে সঠিক উত্তর পাওয়ার একমাত্র পথ হল ডিএনএ পরীক্ষা করানো। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই চিকিৎসকের দাবি, মুলতানের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করাবে না বলে ঠিক করেছে যাতে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া যায়।

দীর্ঘ দিন ধরেই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বালুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোওয়া (কেপি) অঞ্চলের বাসিন্দাদের গুম করে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে।বালোচের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা পাকিস্তানের বাহিনীর বিমাতৃসুলভ ব্যবহারের অভিযোগে দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কড়া নেড়ে চলেছে। তাঁদের অভিযোগ, পাকবাহিনী ওই এলাকার পুরুষদের তুলে নিয়ে যাওয়াকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে। এক বার তুলে নিয়ে গেলে আর তার খোঁজ মেলে না বলেও দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের। এ বার তাঁদের দাবি, সব ক’টি মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংগঠনেও তাঁরা এই দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: Flying Car: ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার! দুবাইয়ের আকাশে উড়ল চালকহীন গাড়ি

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest